Site icon Jamuna Television

অবশেষে ক্ষমা চাইলেন ডি কক, বসলেন হাঁটু গেড়ে

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপ মঞ্চে এসে বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন কুইন্টন ডি কক। সারা বিশ্বব্যাপী ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারস’ আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে অবশেষে হাঁটু গেড়ে বসলেন কুইন্টন ডি কক।

এর আগে বর্ণবাদের প্রতিবাদ না করে উইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ থেকেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন ডি কক। বিতর্ক জন্ম দেয়া এই উইকেটকিপার অবশেষে মুখ খুললেন। নিজের ওই অবস্থানের জন্য সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে জানিয়েছেন, তিনি এখন হাঁটু গেড়ে বসবেন।

দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের দেয়া বিবৃতিতে নিজের অবস্থানের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ডি কক। হঠাৎ করেই হাঁটু গেড়ে বসার ‘বাধ্যবাধকতা’ মানতে পারেননি তিনি। তার কাছে মনে হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত জায়গায় চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। বর্ণবাদের কোনো স্থান নেই ডি ককের কাছে, সেখানে হাঁটু গেড়ে সংহতি জানিয়ে প্রকাশ ঘটানোর সিদ্ধান্তে আপত্তি ছিল তার। আচমকা সিদ্ধান্তটা আসায় হজম করতে পারেননি। তবে এখন বুঝতে পেরে নিজেকে শুধরে নিয়েছেন এই উইকেটকিপার।

ডি কক ‘ক্ষমা’ চেয়ে বলেছেন, ‘হঠাৎ ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার নেয়া সিদ্ধান্তেই ‘বেঁকে বসেছিলেন’ তিনি। শুরুতেই আমার সতীর্থ ও দেশের সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি কখনোই এটাকে ‘কুইন্টনের ঝামেলা’ বানাতে চাইনি। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্ব আমি ভালোভাবেই বুঝি এবং খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের যে দৃষ্টান্ত তৈরি করার দায়িত্ব আছে, সেটাও জানি। যদি আমি হাঁটু গেড়ে বসলে অন্যরা শিক্ষিত হয় এবং অন্যদের জীবন সহজ হয়ে যায়, আমি খুশিমনেই তা করবো। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে না খেলে আমি কাউকে অসম্মান করতে চাইনি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে তো কোনোভাবেই নয়। অধিকাংশ মানুষ হয়তো বুঝতে পারেনি, ম্যাচ খেলার পথে, মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ আমাদের এটা জানানো হয়েছিল।’

এ বিষয়ে বোর্ডের সঙ্গে আলাপ করার পর এর উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয় ডি ককের কাছে। বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে যখন আমাকে ওভাবে একটা জিনিস করতে বলা হলো, তাতে আমার অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে। গত রাতে বোর্ডের সঙ্গে সর্বশেষ যে আবেগময় আলাপ হলো, এখন তাদের উদ্দেশ্যটাও আমি আরেকটু ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি। এটা আরও আগে করলেই ভালো হতো, তাহলেই ম্যাচের দিনের ঘটনাটা এড়ানো যেতো।’

ইউএইচ/

Exit mobile version