Site icon Jamuna Television

লাভের সময় না কমালেও লোকসানে দাম বাড়াতে চায় বিপিসি

লাভের সময় দাম না কমালেও লোকসান হওয়ায় এখন তেলের দাম বাড়াতে চায় পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, বিপিসি। তাদের যুক্তি, ডিজেল আর ফার্নেস অয়েলেই দৈনিক লোকসান ২০ কোটি টাকা। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের চেয়ে ডিজেলের দাম অনেক কম হওয়ায় জ্বালানি তেল পাচার হওয়ার আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কেরোসিন ও ডিজেলের দাম বাড়ালে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষ।

আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল ডিজেলের দাম ১০০ ডলার ছুঁই ছুঁই। মাস ছয়েক আগেও এই দাম ছিল ৬০ ডলারের মতো। দুবছরের স্থবিরতা কাটিয়ে করোনা পরবর্তী বিশ্বে সব জ্বালানির দাম বাড়তে পারে আরও। এমন বাস্তবতায় টানা ৫/৬ বছর অস্বাভাবিক মুনাফা করা বিপিসি আবারও ক্ষতির মুখে। তেল বেচে রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থাটি মাসে ৫/৬শ কোটি টাকা লোকসানে পড়ছে। পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ জানালেন, প্রতি লিটার ডিজেলে ১৪ আর ফার্নেস অয়েলে ৫ টাকার মত লোকসান হচ্ছে তাদের।

এ অবস্থায় প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের ক্ষমতা চায় বিপিসি। তারা বলছে, ভারতে এক লিটার ডিজেল যে দামে বিক্রি হচ্ছে তা বাংলাদেশের চেয়ে ৫৩ টাকা বেশি। এমন অবস্থায় বাড়ছে পাচারের শঙ্কা। তবে কেরোসিন ও ডিজেলের দাম বাড়লে তার নেতিবাচক প্রভাব যে সবক্ষেত্রেই পড়বে, সে বিষয়ে সতর্ক করছেন অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ।

সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কম থাকা অবস্থায় অটোমেশন পদ্ধতি চালুর পরামর্শ দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক।

Exit mobile version