Site icon Jamuna Television

আদালতকে ফাঁকি দিয়ে জামিনে ছিলো দুই বোন, অবশেষে কারাগারে

প্রতীকী ছবি।

আদালতকে ফাঁকি দিয়ে জামিন নিয়েছিলো সাভারের দুই বোন সাবরিনা আক্তার ও শরমিন আক্তার। আসামিদের কৌশল ও জাল-জালিয়াতির প্রমাণ পেয়ে সেই জামিন বাতিল করেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোছাঃ শাহাজাদী তাহমিদা। আজ রোববার (৩১ অক্টোবর) এই দুই আসামিকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গত ১৭ মে কবির হোসেন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন সাভার মডেল থানায়। অভিযোগ আনেন, জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া পর্চা তৈরি করে তার পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করে নেয় তিন আসামি সারোয়ার হোসেন জিতু, সাবরিনা আক্তার ও শরমিন আক্তার। সেই পর্চায় এই তিনজনেরই স্বাক্ষর ছিল। এরমধ্যে সারোয়ার হোসেন জিতু বর্তমানে জামিনে আছে।

এ বিষয়ে যমুনা টেলিভিশনের ইনভেস্টিগেশন থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি ‘জামিন জালিয়াতি’ নামে একটি পর্ব সম্প্রচারিত হয়।

সাভার সেটেলম্যান্ট অফিস জানায়, কান্দির বৈলারপুরের যে দাগের জমির ওপর পর্চা সৃজন করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুয়া।

জমির খতিয়ানে তিন অভিযুক্তের স্বাক্ষর

এরপর আদালত তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পুলিশ প্রথমে সারোয়ার হোসেন জিতুকে গ্রেফতার করলেও বাকি দুই আসামি কৌশলে আদালতকে ভুল বুঝিয়ে বাদির জিম্মায় জামিন নেয়। আদালতকে জানায়, তারা বাদির জমি বুঝিয়ে দিবে এবং কোনো ঝামেলা সৃষ্টি করবে না।

বাস্তবে ঘটে উল্টো ঘটনা। বাদি জমি বিক্রি করতে গেলে, তারা আবারও সেই ভুয়া পর্চা হাজির করে। একইসাথে জমির আরেকটি নতুন নকশা নিয়ে আসে। যেখানে উল্লেখ আছে, কান্দিবৈলারপুর মৌজায় ৫২৪ নম্বর দাগে ৩১০ শতাংশ জমি আছে। কিন্তু আরএস রেকর্ড বলছে, এই দাগে আছে মাত্র ২৪১ শতাংশ জমি।

এই নকশা তৈরিতে সহায়তা করেন তেঁতুলঝরা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ফিরোজ কাজল। তিনি জানান, এই নকশার কথা তার মনে নেই। স্বাক্ষর দেখানোর পর বলেন, এটি ভুল করে হয়েছে।

Exit mobile version