ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে করোনাভাইরাসের মুখে খাওয়ার পিল অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি মের্ক অ্যান্ড রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকসের তৈরি করোনা পিল মলনুপিরাভিরের অনুমোদন দিয়েছে দেশটি।
সিএনবিসি’র প্রতিবেদনে জানা যায়, যুক্তরাজ্যের ওষুধ এবং স্বাস্থ্যসেবা পণ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এমএইচআরএ) করোনার গেম চেঞ্জার ওষুধ মলনুপিরাভিরের ব্যবহার শুরুর সুপারিশ করেছে। সংস্থাটি বলেছে, করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় পজিটিভ ফল এবং উপসর্গগুলো প্রকাশিত হওয়ার পাঁচদিনের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ওষুধের ব্যবহার করতে হবে।
ব্রিটেনে ল্যাগেভরিও নামে এই ওষুধটি বাজারে আসতে পারে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রথম দিকে ওষুধটি দেয়া হলে সেটি ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের মৃত্যু বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে পারে। মুখে খাওয়ার এই ওষুধ করোনাভাইরাসের বংশবিস্তার অকার্যকর করতে সক্ষম বলে দাবি করেছে মের্ক অ্যান্ড রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকস।
করোনায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর সক্ষমতা মলনুপিরাভিরের রয়েছে বলেও জানিয়েছেন কোম্পানির কর্মকর্তারা।
মের্কের কর্মকর্তারা বলেছেন, মলনুপিরাভির মানবদেহে প্রবেশকারী করোনাভাইরাসের জেনেটিক কোডে সমস্যা সৃষ্টি করে ভাইরাসটির বংশবৃদ্ধি প্রায় স্থবির করে দেয়। আর এর ফলেই করোনারোগীর গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি এবং মারা যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
তারা বলেন, বাজারে বর্তমানে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলোর মূল কাজ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করা; ভাইরাসকে অকার্যকর করা নয়। এক্ষেত্রে মলনুপিরাভিরই বিশ্বে প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র ওষুধ, যেটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার সঙ্গে ভাইরাসের প্রজনন ক্ষমতা অকার্যকর করতে সক্ষম।
Leave a reply