
খুলনায় ট্রিপল মার্ডার, ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা শিশু এবং মেডিকেল টেকনোলজিস্টের টাকা আত্মসাতের ঘটনা, চাঞ্চল্যকর ৩ মামলা। অথচ একটি ঘটনার তদন্তেও নেই অগ্রগতি। তাই ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে অভিযুক্তরা। যদও পুলিশ বরাবরের মতোই দাবি করছে, অপরাধীদের ধরতে চেষ্টা চলছে তাদের।
গত ২৬ অক্টোবর কয়রার বামিয়া গ্রামে পুকুর থেকে উদ্ধার হয় একই পরিবারের তিনজনের মরদেহ। এরপর পেরিয়েছে ১০ দিন। পরিবারজুড়ে এখনও শোকের মাতম। অথচ হত্যার কারণ এবং কারা এতে জড়িত তা উদঘাটনে অন্ধকারেই রয়ে গেছে পুলিশ।
দিঘলিয়ায় ধর্ষণের শিকার শিশুর অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ার ঘটনাও এখনও অমিমাংসিত। গত ৩০ অক্টোবর হাসপাতালে সন্তান প্রসব করেছে মেয়েটি। এখনও হাসপাতালেই আছে ভিকটিম। তবে ধরাছোঁয়ার বাইরে অভিযুক্ত প্রভাবশালী সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন। অবশ্য খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান জানালেন, চৌকস একজন অফিসার দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত পরিচালনা করা হচ্ছে। আর ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা নিয়েও পুলিশ সচেতন বলে জানালেন তিনি।
করোনা টেস্টের আড়াই কোটির বেশি টাকা নিয়ে ২৩ থেকে সেপ্টেম্বর লাপাত্তা খুলনা জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট প্রকাশ কুমার দাস। এটিও বেশ আলোচিত ঘটনা। তবে এখনও ধরাছোয়ার বাইরে তিনি।
অর্থ আত্মসাতের সাথে আর কেউ জড়িত কিনা, সে বিষয়ে এখনও কিছুই বলতে পারছেন না সিভিল সার্জন ডা.নিয়াজ মোহাম্মদ। তবে তিনি জানালেন, এর প্রক্রিয়া চলমান আছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দুদকে অভিযোগ করা হয়েছে বলেও জানালেন তিনি। আর খুলনা দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ জানালেন অচিরেই এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।



Leave a reply