Site icon Jamuna Television

নজর কাড়ছে প্রতিবন্ধী স্কেটারদের নিখুঁত স্কেটিং

একজন ব্রাজিলিয়ান স্কেটার।

নিখুঁত স্কেটিংয়ের মাধ্যমে নজর কাড়ছেন ব্রাজিলের একদল প্রতিবন্ধী স্কেটার। প্রবল মানসিক শক্তি দিয়ে কাটিয়ে উঠছেন শারীরিক প্রতিবন্ধকতা। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের দক্ষতা তুলে ধরতে চান এসব খেলোয়াড়রা। অংশ নিতে চান প্যারা অলিম্পিকে। সামাজিক গোড়ামি দূর করে প্রতিবন্ধীবান্ধব বিশ্ব গড়ে তোলার বার্তা এসব ক্রীড়াবিদদের।

ভিনিসিয়াস সারডি দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন স্কেটিং কোর্ট।

ভিনিসিয়াস সারডির দুটি পা নেই। অথচ স্বাভাবিক মানুষের মত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন স্কেটিংয়ের কোর্ট। ভিনিসিয়াসের মতো সাও পাউলোর আরও অনেকেই ব্যস্ত সময় পার করছেন স্কেটিং অনুশীলনে। তাদের কারও হাত-পা নেই, কেউ বা আবার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। কিন্তু নিজেদের প্রতিবন্ধকতা ছাপিয়ে প্রতিনিয়ত প্রমাণ করছেন, অদম্য মানসিক শক্তি দিয়ে জয় করা যায় সবকিছু।

ভিনিসিয়াস সারডি বলেন, স্কেটিং আসলেই অসাধারণ খেলা। যে কেউ নিজের মত করে নিজস্ব স্টাইলে খেলতে পারে। হাত, পা আছে কিনা তা একেবারেই ভাবার প্রয়োজন হয় না। আমার কাছে ভালো সময় কাটানোর অপর নাম স্কেটিং।

ফার্নান্দো আরাওহোর মতে, স্কেটিং করাই তার বেঁচে থাকার একমাত্র কারণ।

ফার্নান্দো আরাওহো একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কেটার। তিনি বলেন, বোর্ডের উপর চেপে স্কেটিং করতে পারাটাই আমার কাছে সবকিছু। মাঝেমাঝে মনে হয়, এটা আমার বেঁচে থাকার একমাত্র কারণ। স্কেটিং করার সময় নিজের সমস্ত প্রতিবন্ধকতা, কুসংস্কার; সবকিছু ভুলে যাই।

কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে স্কেটিং এর খুঁটিনাটি রপ্ত করেছেন এসব ক্রীড়াবিদরা। এবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশকে তুলে ধরতে ঝালাই করে নিচ্ছেন নিজেদের দক্ষতা। আগামী প্যারা অলিম্পিকে অংশ নেয়াই এখন মূল লক্ষ্য।

ব্রাজিলের স্কেটবোর্ডিং কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট এডুয়ার্ডো মুসা বলেন, ২০২৪ সালে প্যারিসে প্যারাস্কেটিং হবার কথা ছিল। কিন্তু আয়োজনটি বাদ দেয়া হয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে ২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে যাবো। তবে ২০৩২ সালের অস্ট্রেলিয়ার আসর নিয়ে আমি সবচেয়ে বেশি আশাবাদী।

পরিবার তথা সমাজ ব্যবস্থায় শারীরিক প্রতিবন্ধীদের হেয় প্রতিপন্ন করা হয়। করুণা নয়, বরং যথাযথ সুযোগ সৃষ্টিই পারে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা উৎরে স্বাভাবিক জীবন দিতে; এমন বার্তাই ছড়াতে চান প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদরা।

Exit mobile version