Site icon Jamuna Television

স্বামী-সন্তানের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না অ্যানি

স্বামী-সন্তানের মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় আহত আলমুন নাহার অ্যানি। শুক্রবার যে তিনজন বাংলাদেশিকে নেপাল থেকে ফিরিয়ে এনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় তাদের একজন অ্যানি।

সোমবার বিকালে হাসপাতাল ছাড়েন অ্যানি। এরপর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শ্রীপুরের গ্রামের বাড়ি নগরহাওলায় পৌঁছান তিনি। সেখানে তাকে তার স্বামী ফারুক আহমেদ প্রিয়ক ও মেয়ে তামাররা প্রিয়ন্ময়ীর মৃত্যু সংবাদ দেয়া হলে তিনি কিছুতেই তা বিশ্বাস করতে চাইছেন না।

অ্যানির স্বজনরা জানান, বাড়িতে পৌঁছানোর প্রায় ২০ মিনিট পর অ্যানিকে তার স্বামী ও মেয়ের নিহতের খবর জানান তার বান্ধবী। এরপর থেকে আহাজারি শুরু করেন অ্যানি। বলতে থাকেন, আপনারা মিথ্যা বলছেন। ওরা বেঁচে আছে। ওদের আমি দেখতে চাই।

একপর্যায়ে স্বামী-সন্তানের লাশ দেখতে চান অ্যানি। এর আগে, কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ থেকে বের হওয়ার সময়ও অ্যানি জানতে চেয়েছিল তার স্বামী ও সন্তান কোথায়। তখন জানানো হয়েছিল, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের সিঙ্গাপুর নেয়া হয়েছে।

নেপালে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানে মেহেদীর সঙ্গে নেপাল যাচ্ছিলেন ফারুক আহমেদ প্রিয়ক ও তার স্ত্রী আনমুন নাহার অ্যানি এবং তাদের আড়াই বছরের শিশুসন্তান তামান্না প্রিয়ম্মী। তারা পাশাপাশি সিটে বসেছিলেন। বিমান দুর্ঘটনায় ফারুক আহমেদ প্রিয়ক ও তার শিশুসন্তান তামান্না মারা যান।

যমুনা অনলাইন: টিএফ

Exit mobile version