উৎপাদন ও আমদানি মিলে দেশ এখন ধান-চালে ভরপুর, পাশাপাশি কয়েকদিন বাদে যোগ হবে আমনের ফলনও। কিন্তু অধিক মজুদে নতুন ধানের বাজারদর নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। তাই আগে থেকেই পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ সংশ্লিষ্টদের।
বোরো মৌসুমে দেশে ধান উৎপাদন হয়েছে দুই কোটি সাত লাখ মেট্রিক টন। সরকারি এই তথ্যে ব্যবসায়ীরা বলছেন, উদ্বৃত্ত ১৬ থেকে ১৮ লাখ মেট্রিকটন খাদ্যশষ্য মজুদ, আর উদ্বৃত্ত্বের দেড় গুণ মজুদ করেছে অধিক মুনাফালোভী পুঁজিপতিরা।
পর্যাপ্ত মজুদ, অথচ বাড়তি দামের বোঝা ভোক্তা পর্যায়ে। পাইকারিতে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে নাজির, পাইজাম, জিড়াশাইল ও মিনিকেট। মিলারদের অজুহাত, বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মজুত করার মানসিকতাই বাড়িয়েছে চালের দর।
মজুতদারী ভাঙতে নেয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ। উল্টো বাজার নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানি করেছে সরকার। ফলে নতুন ধানের দর নির্ধারণে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা। নওগাঁ ধান্য চাউল আরতদার সমিতির সভাপতি নিরোদ বরন সাহা চন্দনের দাবি, চাল আমদানির কোনো প্রয়োজনই ছিল না। চাল আমদানি করাই মজুতদারি বাড়ানোর জন্য দায়ী বলেও মনে করেন তিনি। আর নতুন ধানের বাজার দর নিশ্চিত করতে সরকারকে চাল কেনার আহ্বান জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
চলতি আমন মৌসুমে ৪০ টাকা দরে পাঁচ লাখ টন চাল ও ২৭ টাকা দরে তিন লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
Leave a reply