বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঢাকা পড়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিসহ আশপাশের বিভিন্ন শহর। এবারের দূষণের মাত্রা ছাড়িয়েছে কয়েক বছরের রেকর্ড। মূলত দীপাবলি উৎসবে আতশবাজি পোড়ানো ও কৃষি জমিতে আগুন দেয়ার কারণেই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালে বেড়েছে শ্বাসকষ্টজনিত রোগীদের সংখ্যা।
দিল্লির বাতাস এতই দূষিত যে, দিনের বেলায়ও গাড়িগুলোকে চলাচল করতে হচ্ছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। তীব্র দূষণের কারণে বাতাস এমন ধোঁয়াশা হয়ে গেছে। একটু দূরের পথও ঝাপসা দেখছে পথচারীরা। তাজমহলের পাশে দাঁড়িয়েও তাজমহল দেখা যাচ্ছে না। বাতাসে কিছুক্ষণ চলাচল করলে চোখও জ্বালাপোড়া করতে শুরু করে।
সবসময়ই দূষিত বাতাস থাকলেও গত দুই দিনের তুলনায় আজকের অবস্থা আরও খারাপ। আজকে দিল্লির বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে।
ভয়াবহ দূষণের কারণে হাসপাতালে বাড়ছে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের রোগীদের চাপ। চিকিৎসকরা বলছেন, ১০ থেকে ১৫ দিন হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তাদের বেশির ভাগকেই দিতে হচ্ছে ইনহেলার। এছাড়া অ্যালার্জির সমস্যা নিয়েও অনেকে আসছেন বলে জানালেন, দিল্লির একটি হাসপাতালের ডাক্তার ধীরেন গুপ্ত।
পরিবেশবিদরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দীপাবলিতে আতোশবাজি পোড়ানোয় দ্বিগুণ হয়েছে দূষণের মাত্রা। শুধু নয়াদিল্লি নয়, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদসহ রাজধানীর আশপাশের শহরে বাড়ছে দূষণ। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে দূষণের মাত্রা ছিলো ৫০০ এর ঘরে। যা কয়েক বছরের মধ্যে রেকর্ড। পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। শুধু দিল্লি নয়, উত্তরাঞ্চলেও ভয়াবহ অবস্থা। এই মুহূর্তে সরকার উদ্যোগী না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে বলছেন পরিবেশকর্মী ভীমলেন্দু ঝাঁ। এরই মধ্যে দূষণের মাত্রা ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছ বলেও জানান এই পরিবেশ অধিকার কর্মী।
তবে ভারতের পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন জায়গায় ছেটানো হচ্ছে পানি।
আতশবাজি ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা আগুন জ্বালিয়ে জমি পরিষ্কার করার কারণে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। তথ্য বলছে, বায়ু দূষণে ২০১৯ সালে ভারতে মৃত্যু হয় ১৬ লাখের বেশি মানুষের।
Leave a reply