সুন্দরবনের দুবলারচর, আলোরকোল, নারকেলবাড়িয়া, শেলারচর ও মেহের আলীর চর নিয়ে সর্ববৃহৎ মৎস্য কেন্দ্র দুবলা শুঁটকি পল্লি। এখানকার জেলে-বহদ্দারের সুপেয় পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। যে তিনটি পুকুর ছিল, তার একটি চলে গেছে নদীগর্ভে। বাকি দুটি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সময় লোনা পানি ঢুকে হয়ে পড়ে ব্যবহারের অনুপযোগী। তাই কিছু কুয়া আর এমন ছোট ছোট পানির আধারই ভরসা।
সুপেয় পানির সংকটে দূষিত পানি পান করে দিন কাটাচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। ধোঁয়া-মোছার কাজেও যেমন পানি ব্যবহার করেন না অনেকে দুবলার চরে তেমন অপরিষ্কার-দূষিত পানি-ই তৃষ্ণা মেটানোর একমাত্র অবলম্বন। স্বাস্থ্যসেবা বলতেও কিছু নেই সেখানে। গ্রাম্যচিকিৎসক নামমাত্র সেবা দিয়ে চালাচ্ছেন প্রাথমিক কাজ।
ভুক্তভোগীরা জানান, কুয়া খুড়ে পানি সংগ্রহ করতে হয়। এতে এখানের বাসিন্দারা প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের পানবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা অতি জরুরি।
খাবার পানির সংকট তো প্রকটই। এখানকার স্বাস্থ্যসেবার দশা আরও বেহাল। দুবলার চরে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছিল। তবে, তা কয়েক বছর আগেই বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। এখন কয়েকজন পল্লি চিকিৎসক টুকটাক ওষুধ দিয়ে চালিয়ে নিচ্ছেন প্রাথমিক কাজ।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তার ভাষ্য, কিছু প্রকল্পের কাজ চলমান। সেগুলো সম্পন্ন হলে সমাধান হবে সমস্যার।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, আমাদের একটি প্রকল্প পাস হয়েছে। সুরক্ষা প্রকল্প নামের ওই প্রকল্পে মেডিকেল টিম আছে। পাশাপাশি ওই প্রকল্পের আওতায় ঔষধ সরবরাহেরও ব্যবস্থা আছে। এটি বাস্তবায়ন হলে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়া সহজ হবে।
Leave a reply