সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
মিথ্যাচারের অভিযোগে নৌকার প্রার্থীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলো মুক্তিযোদ্ধারা। সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার ১০নং ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী শওকাত হোসেনকে রাজাকার পুত্র ও তার পিতা সাবেক চেয়ারম্যান গাজী খোরশেদ আলমকে রাজাকার বলে আখ্যায়িত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে মিথ্যাচারের অভিযোগে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সজল মুখার্জীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড।
রবিবার (৭ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নে গোবিন্দপুর হাট খোলায় ধলবাড়িয়া ইউনিয়নবাসীর ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন গাজী খোরশেদ আলমের চাচা এলেমুদ্দীন গাজী। আওয়ামী লীগের সমর্থনে গাজী খোরশেদ আলম ৫ বার অর্থাৎ ২৫ বছর ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। গাজী খোরশেদ আলমের মৃত্যুর পর তারই ছেলে গাজী শওকাত হোসেন ২০০৩ সালে ও ২০১১ সালে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতিকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান হন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা গাজী শওকাত হোসেনকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেন এবং তিনি বিপুল ভোটে বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়ী হন। উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২২ নভেম্বর গাজী শওকাত হোসেনকে পুনরায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পান। কিন্তু সজল মুখার্জী মৌতলার রাজাকার খোরশেদ আলমকে গাজী শওকাত হোসেনের পিতা বলে চালিয়ে দিয়ে বিভিন্ন দফতরে তা দাখিল করে ও মানববন্ধনের মাধ্যমে গাজী শওকাত হোসেনের পরিবারকে হেয় করেছেন।
মানববন্ধন থেকে নৌকার প্রার্থী সজল মুখার্জীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল গফফার ও ইউনিয়ন আওয়াামী লীগের নেতা কর্মীরা।

