স্বামীর সাথে কোনো আবেগিক সম্পর্ক নেই। স্ত্রীকে কেবল টাকা কামানো ম্যাশিন বলে মনে করেন মদ্যপ স্বামী। আর এটা মানসিক নির্যাতন ছাড়া আর কিছুই না। দিল্লি পুলিশের এক নারী সদস্যের বিচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলার শুনানি দিতে গিয়ে এমন মন্তব্য করলো দিল্লি হাইকোর্ট। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
মূলত স্বামীর ওপর অতিষ্ট হয়ে আদালকে বিচ্ছেদের আবেদন করেন এক নারী। অভিযোগ, তার বিয়ে হয়েছিল ১৩ বছর বয়সে। সে সময় তার স্বামীর বয়স ছিল ১৯। বিয়ের পর থেকে কখনই বাবার বাড়িতে যেতে দেয়া হয়নি তাকে। তবে ২০১৪ সালে দিল্লি পুলিশে চাকরি পাওয়ার পর সে অনুমতি মেলে। আর এরপরই মূলত তার আয়ের প্রতি নজর পড়ে স্বামীর।
স্বামীর থেকে আলাদা হওয়ার জন্য প্রথমে পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই নারী। তার অভিযোগ, মদ্যপায়ী স্বামী কোনও কাজকর্ম করেন না। স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগও করেছেন তিনি। পাশাপাশি স্ত্রী-র দাবি, সব সময়ই টাকার চাহিদা তার স্বামীর।
সব বিবেচনায় অবশেষে ওই দম্পতির বিচ্ছেদে অনুমতি দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। আদালতের মন্তব্য, স্ত্রীর সাথে আবেগময় সম্পর্ক বলতে কিছুই ছিল না তার স্বামীর। এটি আবেদনকারী নারীর কাছে মানসিক যন্ত্রণার শামিল। ফলে দম্পতির বিচ্ছেদের জন্য এই যুক্তি যথেষ্ট।

