Site icon Jamuna Television

ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম ফিলিস্তিনি পোস্টের ব্যাপারে পক্ষপাতদুষ্ট!

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি পোস্টের ব্যাপারে পক্ষপাতদুষ্ট; ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম! এমন অভিযোগ তুলেছেন রামাল্লা ভিত্তিক ডিজিটাল অধিকার বিষয়ক মানবাধিকারকর্মীরা। দাবি করেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পোস্টকৃত লেখা-ছবি বা ভিডিও নিজস্ব নীতিমালা বিরোধী উল্লেখ করে, মুছে দেয় জনপ্রিয় সাইটগুলো। এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেনি ফেসবুক ইন-কর্পোরেশন বা মেটা।

চলতি বছর ‘শেখ জারাহ’ এলাকায় বসবাসরত মুসলিম উচ্ছেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছিলো ফিলিস্তিন। যার ধারাবাহিকতায়, ১১ দিনের সহিংসতায় জড়ায় ইসরায়েল ও সশস্ত্র সংগঠন হামাস। প্রাণ হারান আড়াই শতাধিক ফিলিস্তিনি।

সম্প্রতি, ফিলিস্তিনি মানবাধিকারকর্মীরা অভিযোগ তুলেছেন, সেসময় ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা বিষয়বস্তুগুলো কৌশলে মুছে দেয়া হয়েছে। বহির্বিশ্বে যেন তথ্য-উপাত্ত পৌঁছাতে না পারে সেজন্যই এই কৌশল।

মানবাধিকারকর্মী তালা ঘানম বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করার পর মুছে দেয়া নতুন বিষয় নয়। কিন্তু মে মাসে ‘শেখ জারাহ’র দখলদারিত্ব নিয়ে যখন গণ্ডগোলের সূচনা হলো সেসময় ডিজিটালি চরম হয়রানি করা হয়েছে। নীতিমালা লঙ্ঘিত হচ্ছে এমন কারণ দেখিয়ে চাপে রাখে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম। যা মত প্রকাশ এবং বাকস্বাধীনতার স্পষ্ট লঙ্ঘন। এখনো বুঝতে পারিনা ‘সেইভ শেখ জারাহ’ শব্দাবলীর মধ্যে ঝুঁকিটা কোথায়?

বিকল্প উপায় হিসেবে, অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো রেকর্ডে রাখা শুরু করে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। জানায়, নির্দিষ্ট ভাষা-শব্দের ব্যাপারে সতর্ক অবস্থানে ছিল ফেসবুক।

সেভেন আমলেহ্’র পর্যবেক্ষক ও ব্যবস্থাপক আহমেদ ক্বাদি জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ এবং নথিভুক্ত করার কৌশলে বড় ধরণের পরিবর্তন এনেছি আমরা। ডাটাবেইজ তৈরি করা হয়েছে। গেলো মে মাস থেকে, ফেসবুকে ফিলিস্তিনি অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে এমন সাড়ে ৭শ’ ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছি আমরা। সাইটগুলো আরবিয় ভাষার প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট। তাদের গাইডলাইনে ফেলা কিছু পরিভাষাও শনাক্ত করা হয়েছে।

গেলো সপ্তাহেই, শেখ জারাহ অঞ্চল থেকে ফিলিস্তিনি উচ্ছেদ ইস্যুতে আপোষের প্রস্তাব দিয়েছিলো ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট। যা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে মামলাকারী ৪ পরিবার।

Exit mobile version