Site icon Jamuna Television

ইংলিশদের একাদশে গভীরতার পরীক্ষা আজ

ইনজুরির লিস্ট লম্বা হচ্ছে ইংল্যান্ডে। ছবি: সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আজ রাত ৮টায় মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। বৈশ্বিক কোনো আসরে এই দুই দলের লড়াই মানেই অবধারিতভাবে চলে আসবে বিশ্বকাপ ফাইনালের ইতিহাসেই অন্যতম পাগলাটে ম্যাচের কথা; ২০১৯ সালের লর্ডসে বেন স্টোকসের বীরত্ব ও সুপার ওভারের নাটক। আজ আবার মাঠে নামছে এই দুই দল। যেখানে কিউইদের কার্যকারিতার বিপক্ষে পরীক্ষায় অবতীর্ণ হবে জেসন রয়কে হারিয়ে ইংলিশদের একাদশের গভীরতা।

মহাকাব্যিক সেই সুপার ওভারের ফাইনালের পর আবার একবার বিশ্বকাপের মহারণে মুখোমুখি কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড ও এউইন মরগ্যানের নিউজিল্যান্ড। লর্ডসের সেই ফাইনালের পর কেটে গেছে ৮৫০ দিন। এরমধ্যে হয়ে গেছে অনেক কিছুই। একটা বৈশ্বিক মহামারিতে ধুঁকেছে পুরো বিশ্ব। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল জিতেছে কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড। তবে এতোকিছুর পরও ম্লান হয়নি লর্ডসের বিকেলে মঞ্চায়িত হওয়া সেই থ্রিলার। উভয় দলই বলছে, লর্ডসের সেই ম্যাচের ছায়া তাদের উপর আছে সামান্যই। ভিন্ন কন্ডিশন, ভিন্ন ফরম্যাট, ভিন্ন টুর্নামেন্টের ভিন্ন স্তরে দুই একাদশও থাকছে অনেকটাই ভিন্ন। দুই দলেই লর্ডস ফাইনালের পাঁচজন করে আছেন আজকের সেমিফাইনালে।

তবে সেই মহারণের আইকনিক দুই যোদ্ধা- বেন স্টোকস ও জফরা আর্চারকে ছাড়াই দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়েছে ইংলিশরা। এর সাথে ইংলিশদের ইনজুরির লিস্ট লম্বা হচ্ছে তো হচ্ছেই। জফরা আর্চারের অনুপস্থিতিকে কিছুটা হলেও ভুলিয়ে দিতে পেরেছিলেন টাইম্যাল মিলস। এক্সপ্রেস গতির সাথে স্লোয়ার ও নাকল বলে যে বৈচিত্র্য তিনি যোগ করেছিলেন, সেটার অভাবও বোধ করছে এখন ইংল্যান্ড। শারজায় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচে ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে টুর্নামেন্টকেই বিদায় জানাতে বাধ্য হয়েছেন মিলস। তার স্থলে মার্ক উড এসেছেন। বিশ্বের অন্যতম দ্রুতগতির এই বোলার উইকেট টেকার হিসেবে দারুণ হলেও এই ফরম্যাটের চাহিদা অনুযায়ী বৈচিত্র্যের দিক থেকে কিছুটা হয়তো পিছিয়েই থাকবেন।

জেসন রয়ের শূন্যস্থান পূরণ করতে মিডল অর্ডার থেকে ওপেনিংয়ে আসবেন হয়তো জনি বেয়ারস্টো।
ছবি: সংগৃহীত

তার উপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে বাঁ পায়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়া জেসন রয়ের মারকুটে ব্যাটিংও মিস না করে উপায় নেই ইংলিশদের। একপ্রান্তে রয়ের উপস্থিতি ও উইলোবাজিতেই জস বাটলার পেয়েছেন চূড়ান্ত গতিতে ইনিংসকে এগিয়ে নেয়ার লাইসেন্স। এউইন মরগ্যানের দল ২০১৫ সালের পর থেকে যে ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলে আসছে, তার অন্যতম কান্ডারি জেসন রয়। ইনিংসের শুরুতেই ফুল থ্রটলে ইংলিশ ব্যাটিং এগিয়ে যেতে পারে রয়ের আগ্রাসী ও স্বার্থহীন ব্যাটিংয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই প্রথম বল থেকেই যেন ইংল্যান্ডের ছন্দ নইর্ধারণ করে দেন রয়, যখন অজিদের সবচেয়ে ইনফর্ম পেসার জশ হ্যাজলউডকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ওয়াইড লং অন দিয়ে সপাটে সীমানা ছাড়া করেন তিনি। ২০ বলে ২২ করে আউট হয়ে যান রয়। কিন্তু মোমেন্টাম ঠিক করে দিয়েছিলেন তিনি আর সেটা শতভাগ কাজে লাগান বাটলার।

আজ জেসন রয়ের জায়গায় খেলতে মিডল অর্ডার থেকে ওপেন করতে হবে হয়তো জনি বেয়ারস্টোকে। রয় বা অ্যালেক্স হেলসের সাথে অনেকবারই ওপেন করে দারুণভাবে পরীক্ষিতও বেয়ারস্টো। তবে স্যাম বিলিংস বা ডেভিড উইলির পারফরমেন্সেই বিচার করা যাবে, ইংলিশদের একাদশের গভীরতা আসলে কতটুকু।

Exit mobile version