Site icon Jamuna Television

পাকিস্তানে দুধের লিটার ১৪০ রুপি!

ছবি: সংগৃহীত।

খাদ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে হিমশিম খাওয়া করাচির জনগণের জন্য সোমবার (৮ নভেম্বর) আরও একটি অশনিসংকেত এসেছে। এ দিন দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত খাতের নীতিনির্ধারকেরা তরল দুধের দাম প্রতি লিটারে বাড়িয়েছেন ১০ রুপি। আর দইয়ের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ রুপি।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এর মধ্য দিয়ে চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো দুধ ও দইয়ের দাম বাড়ানো হলো। এর আগে মার্চে প্রতি লিটার দুধের দাম ১২০ রুপি থেকে বাড়িয়ে ১৩০ রুপি করা হয়। আর তাতে দইয়ের দামের ওপর প্রভাব পড়ে। দইয়ের দাম কেজিপ্রতি ২০ রুপি বাড়িয়ে ১৮০ থেকে ২০০ রুপি করা হয় তখন।

খুচরা দুধ বিক্রেতা সমিতির মুখপাত্র ওয়াহিদ গাদ্দি জানান, তরল দুধের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে লিটারপ্রতি ১৪০ রুপি। আর দইয়ের নতুন দাম প্রতি কেজি ২২০ রুপি। করাচিতে ১০ হাজারের বেশি দোকান রয়েছে। ওয়াহিদের দাবি ৮০ শতাংশ দোকানে নতুন দর কার্যকর করা হয়েছে।বিজ্ঞাপনবিজ্ঞাপন

খুচরা বিক্রেতাদের সংগঠন যখন দুধের দাম বাড়ানোর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, তখন কীভাবে পাইকারি বিক্রেতারা দাম বাড়ালেন, সে ব্যাপারে ওয়াহিদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি বলেন, পাইকারি বিক্রেতারা দুধের দাম লিটারে ৪০ রুপি বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। দুই মাস ধরে তারই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন খুচরা বিক্রেতারা। আর পাইকারি বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে ফেললেন, খুচরা বিক্রেতাদের দাম বাড়ানো ছাড়া আর উপায় থাকে না।

গবাদিপশু খামারিদের সংগঠনের পক্ষ থেকে দাম বাড়ানোর সাথে নিজেদের সংশ্লিষ্টতা থাকার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। ডেইরি ক্যাটল ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিসিএফএ) প্রেসিডেন্ট শাকির গুজ্জার দাবি করেছেন, তরল দুধের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে তার সংগঠনের কোনো ভূমিকা নেই। পাইকারি বিক্রেতারাই দাম বাড়িয়েছেন।

Exit mobile version