এবারের শীতে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা তেমন একটা দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।
আসছে শীতে মারাত্মক করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কোনো শঙ্কা দেখছে না সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা। অন্য রোগীর চাপ বাড়ায় করোনা চিকিৎসায় নির্ধারিত লোকবল ও স্বাস্থ্য সরঞ্জাম সাধারণ চিকিৎসার জন্য ব্যবহারের মত তাদের। দিয়েছেন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালসহ কোভিড ডেডিকেটেড অন্যান্য হাসপাতালগুলোকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার তাগিদ। এরই মধ্যে সোহরাওয়ার্দীসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতাল করোনা শয্যা কমিয়েছে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দশটি আইসিইউ শয্যা আগে করোনা রোগীর জন্য নির্ধারিত ছিলো। গেলো দুই মাস কোনো করোনা রোগীকে এখানে চিকিৎসা দেয়ার প্রয়োজন হয়নি। তাই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে অন্য রোগীদের।
মহামারির সেই নির্দয় সময়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে করোনা ইউনিটের ইনচার্জ ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম। সেই ভয়াবহ সময়ের বর্ণনা দিচ্ছিলেন তিনি। জানান, এখন প্রায় সব কিছু স্বাভাবিক। আইসিইউ ইনচার্জ ডা. মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, নয়-দশ বছরের কিছু রোগী ভর্তির জন্য অনেক অনুনয় বিনয় ছিলো আমাদের কাছে, আরও কিছু কমবয়েসী রোগীকে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করেছি আমরা, পারিনি।
করোনা চিকিৎসার কারণে অন্য রোগের চিকিৎসা এতদিন ব্যাহত হয়েছে। তাই সম্প্রতি অন্য রোগীর ভীড় বেড়েছে হাসপাতালে। এ কারণে কোভিড রোগীর জন্য ৫০টি শয্যা রেখে বাকীগুলো সাধারণ শয্যায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা খলিলুর রহমান বলেন, আমাদের এখানে এখন অনেক নন কোভিড রোগী। আমরা জায়গা দিতে পারছি না। আগে তো ভয়ে অনেকেই হাসপাতালে আসতো, এখন ওই ভয়টা তেমন একটা নেই। এখন আর কোভিড রোগী বাড়ছে না তেমন একটা। শীত এলে এমনিতেই এলার্জি ও সাধারণ শীতজনিত রোগগুলো বাড়ে, তবে করোনা বৃদ্ধির শঙ্কা কম। বাড়লে তখন না হয় বেড বাড়াবো।
সোহরাওয়ার্দীর মতই অন্য হাসপাতালগুলোকেও জনবল সাধারণ রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহারের পরামর্শ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. বে-নজীর আহমদের। তার মতে শীতে বাংলাদেশে বাড়বে না করোনা।
এ ব্যাপারে সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. বে-নজীর আহমেদ বলেন, গত শীতেও কিন্তু আমাদের দেশে করোনা তেমন একটা বাড়েনি, তবে তুলনামূলকভাবে দেশে গরমকালেই করোনা বেড়েছে। ইন জেনারেল, দেশে মারাত্মক সংক্রমণের সম্ভাবনা আমি কমই দেখি। ভ্যাকসিন ও ন্যাচারাল ইনফেকশন দিয়ে প্রতিরোধের ফলে একটা বড় সংখ্যক মানুষ ইতোমধ্যেই সুরক্ষিত হয়েছেন করোনা থেকে।
Leave a reply