Site icon Jamuna Television

অজ্ঞান পার্টির কবলে তাবলীগ জামাতের ১৫ সদস্য, ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

হাসপাতালে তাবলীগে আসা মুসল্লি।

পিরোজপুর প্রতিনিধি:

পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার একটি মসজিদে আসা তাবলীগ জামায়াতের ১৫ জন মুসল্লি অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়েছেন।

আজ শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সকালে কাউখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে অসুস্থ হয়ে পড়া ওই মুসল্লীদের। অসুস্থদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অসুস্থ মুসল্লিরা হলেন নীলফামারী জেলার বড়ইবাড়ি গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে মোস্তকিম (১৮), নেত্রকোনা জেলার তেলিগাতি গ্রামের আলী আকবরের ছেলে মিজানুর রহমান (৫০) একই জেলার বড়ইখালি গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে হামিদ উদ্দিন (৫৫)। নওগাঁ জেলার বাকরাইন গ্রামের সাবের উদ্দিনের ছেলে ইদুকুল ইসলাম, একই জেলার সাকড়াইল গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে ইয়াসিন আলী (৫২), নওগা জেলার ভান্ডারপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল ছত্তার (৪০), একই জেলার নাবিলা নোনাহারপুর গ্রামের খোদাবক্সের ছেলে মোস্তাকিম (৫৯) একই জেলার রসুলপুর গ্রামের বসির শেখের ছেলে আব্দুস সামাদ (৭১), সুনামগঞ্জ জেলার মোহনপুর গ্রামের আব্দুল শুক্কুরের ছেলে শফিউল্লা (৬২), একই জেলার কালিপুর গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে জাফর আলী (৬০), কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদরের এনায়েতুল্লার ছেলে সফিউল্লাহ (৭০) একই জেলার রাইটহাট গ্রামের ফেরদৌরে ছেলে আলী আকবর (৫৯), সুনামগঞ্জ জেলার ধরনিয়া গ্রামের মকবুল আলীর ছেলে আব্দুল হান্নান (৬০), নোয়াখালী জেলার কাশীমপুর গ্রামের আরশতিমের ছেলে তাবারক উল্লাহ (৬৩), কক্সবাজার জেলার নয়াপাড়া গ্রামের হাসেমউল্লার ছেলে হারুনুর রশিদ।

এদের মধ্যে আব্দুল হান্নান এবং তাবারকউল্লাহ কে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জানা যায়, ১৬ সদস্যের টিমটি ৪১ দিনের চিল্লার অংশ হিসাবে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার গারতা মসজিদে চিল্লায় অংশ নেয়।

তাবলিগ জামায়াতের এক সদস্য জানান, তারা রাতে নামাজ ও যাবতীয় কার্যক্রমে শেষ করে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোররাতে ফজরের নামাজের সময় কেউ ঘুম থেকে না উঠায় বিষয়টি স্থানীয়দের জানানো হয়। পরে তারা এসে অজ্ঞান অবস্থায় ১৬ জনের ১৫ জনকে কাউখালী হাসপাতালে নিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, সন্ধ্যার পরপরই একটি অচেনা লোক এসে আমাদের বাড়ি কোথায় জিজ্ঞাসা করে এবং রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে বলে চলে যায়। মুসল্লিদের কাছে কি পরিমাণ টাকা বা মাোবাইল চুরি গেছে তা সঠিকভাবে এখন বলা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে কাউখালি থানার ওসি মো. বনি আমিন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। কোনো দুস্কৃতিকারী চুরি বা নাশকতার জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।

Exit mobile version