Site icon Jamuna Television

মানবতার স্বার্থে দৃঢ় অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে হবে: শেখ হাসিনা

করোনা পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক মানবতার অভিন্ন স্বার্থে দৃঢ় অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ইউনেস্কোর ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সহিষ্ণুতা ও মর্যাদা সঞ্চারিত করার মাধ্যমে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে। এই লক্ষ্যে তারা শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি এবং যোগাযোগকে কার্যকর হাতিয়ার হিসাবে বেছে নিয়েছে বলেও জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ইউনেস্কোকে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অন্যতম কার্যকর মঞ্চ হিসেবে বিবেচনা করে। বাংলাদেশ সরকার বছরের শুরুতে প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ স্কুল শিক্ষার্থীরদের মধ্যে বিনামূল্যে ৪০ কোটি বই বিতরণ করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ মহাপরিকল্পনায় আইসিটি ভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রস্তুত করা হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

এসময় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

মহামারি বহু মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে এবং আমাদের জীবন বদলে দিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটি আমাদেরকে উদ্ভাবনী কাজ এবং গতির মাধ্যমে বেঁচে থাকতেও শিখিয়েছে। মহামারী থেকে পুনরুদ্ধারের পথে থাকা বিশ্বের সামনে চারটি পরামর্শ তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আসুন আমাদের বিশ্ব মানবতার অভিন্ন কল্যাণের জন্য দৃঢ় অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে এই মুহূর্তটি কাজে লাগাই।

প্রধানমন্ত্রী তার পরামর্শে বলেন, পুনরুদ্ধারের জন্য, ডিজিটাল সরঞ্জাম ও পরিষেবা, ইন্টারনেট অ্যাক্সেস, ডিজিটাল বিষয়বস্তু এবং শিক্ষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে আমাদের একটি বৈশ্বিক পরিকল্পনা দরকার।

তিনি বলেন, যে প্রযুক্তি সহায়ক অর্থপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ তৈরির জন্য অবশ্যই সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব গড়তে হবে। প্রধানমন্ত্রী তার পরামর্শে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে অবশ্যই একটি বৈশ্বিক গণপণ্য হিসেবে বিবেচনা করা উচিত বলে উল্লেখ করে বলেন, আমাদের অবশ্যই সবার কাছে, বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী ছাত্র ও শিক্ষকদের কাছে টিকা লাভের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। পরামর্শে তিনি আরও বলেন, আমাদের জনগণের কল্যাণের জন্য প্রযুক্তি স্থানান্তরকে গুরুত্ব দিয়ে বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক গবেষণার সুবিধাকে কাজে লাগাতে হবে।

ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজোলে এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউনেস্কো বিশ্বের জন্য আশা ও শান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে।

Exit mobile version