Site icon Jamuna Television

মারধর ও গালিগালাজে অধৈর্য্য হয়ে বাবাকে পিটিয়ে মারলো মেয়ে!

ছবি: সংগৃহীত।

বাবা গালিগালাজ করতেন, প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে মারধর করতেন বলেও জানা গেছে। এসব আর সহ্য করতে না পেরে রাগের মাথায় বাবাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল মেয়ের বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরপাড়া এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা। এতে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই অঞ্চলে।

পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের মাধ্যমে জানা গেছে, প্রতিবেশীদের বয়ানের ভিত্তিতে ওই মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এখনও লিখিত কোনো অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় তদন্ত শুরু হয়নি।

জানা গেছে মেয়ের হাতে খুন হওয়া কালীপদ দাস রেলের অবসরপ্রাপ্ত একজন কর্মী। বাড়িতে স্ত্রী গীতাদেবী অসুস্থ, শয্যাশায়ী। মেয়ে কেয়া অধিকারীর বিয়ে হলেও বিচ্ছেদের পর তিনি ছেলে অভিষেককে নিয়ে বাবার কাছে এসেই থাকেন। বছর চব্বিশের নাতি অভিষেকের পড়াশোনাসহ যাবতীয় খরচ এতদিন বহন করেছেন কালীপদই।

তবে শুক্রবার (১২ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে মেয়ের হাতেই খুন হলেন বাবা! প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, সকাল ১১টা নাগাদ এই বাড়ি থেকে বৃদ্ধের চিৎকার শোনা যায়। আশেপাশের বাসিন্দারা উঁকিঝুঁকি দিয়ে ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করেন। দেখা যায়, অভিষেক দুটি ব্যাগ নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে।

তা দেখার পরই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তারা বৃদ্ধের বাড়ি গিয়ে দেখেন, তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। স্থানীয় এক চিকিৎসককে খবর দেন প্রতিবেশীরা। তিনি এসে পরীক্ষা করে জানান, বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবেশীদের সন্দেহ গিয়ে পড়ে মেয়ে ও নাতির উপর। উত্তরপাড়া থানায় খবর পাঠানো হয়। পুলিশ ওই বাড়িতে পৌঁছে মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় মেয়ে কেয়া জানিয়েছে, তার সঙ্গে বাবার অশান্তি লেগে থাকত। মেয়েকে গালিগালাজ, এমনকি মারধরও করতেন বাবা। এদিনও তেমন উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বাড়িতে। তাতেই কেয়া রেগে বাবাকে পেটায়। তবে তাতে যে বাবার মৃত্যু হবে, তা নাকি ভাবতে পারেনি অভিযুক্ত মেয়ে।

এই স্বীকারোক্তির পর মেয়ে কেয়া অধিকারীকে আটক করে পুলিশ। খোঁজ চলছে নাতি অভিষেক অধিকারীর। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, নিহত কালীপদই মেয়ের ডিভোর্সের পর মেয়ে-নাতিকে নিজের বাড়িতে এনে রাখেন। তাদের দেখভালের দায়িত্ব নেন।

অভিষেককে বড় করে তুলেছেন তার দাদু। তাই সম্পত্তিগত কারণে পরিকল্পনা করেই কেয়া বাবাকে পিটিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ প্রতিবেশীদের। আর এই ঘটনায় মাকে সাহায্য করেছে নাতিও। এমনই অভিযোগ প্রতিবেশীদের।

Exit mobile version