Site icon Jamuna Television

সার নিয়ে বিপাকে জয়পুরহাটের কৃষকরা

সার সল্পতা থাকলেও মাঠের যত্নে কোনো ছাড় দিতে রাজী নন কৃষক।

সার নিয়ে বিপাকে জয়পুরহাটের কৃষকরা। তাদের দাবি, সংকটের অজুহাতে বাড়তি দাম নিচ্ছে ডিলার আর ব্যবসায়ীরা। তবে ডিলারদের দাবি- বরাদ্দের চেয়ে বেশি ব্যবহার, সাথে পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধিতে গুদামে সময়মতো আসছে না সার। এতেই দেখা দিয়েছে সংকট। অবশ্য কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, সারের কোন সংকট নেই।

জয়পুরহাটের তুলাট গ্রামের কৃষক গাজিউল ইসলাম, এবছর ৫ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করবেন বলে জমি প্রস্তুত করছেন। তার সার দরকার ১৮ বস্তা কিন্তু তিনি বিভিন্ন দোকান ঘুরে সার পেয়েছেন মাত্র ৮ বস্তা। তিনি বলেন, কৃষকরা খুব হয়রানি হচ্ছেন। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় গিয়ে দৌড়ঝাঁপ করে সার ম্যানেজ করতে হচ্ছে, অনেকেই সার না পেয়ে হন্যে হয়ে ঘুরছেন।

তার মত সব কৃষকই সারের জন্য হণ্যে হয়ে ঘুরছেন, কিন্তু চাহিদামত সার পাচ্ছেন না। আবার বস্তা প্রতি দু একশ টাকা বেশি গুনলেই মিলছে সার। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, ন্যায্য দামে পাওয়া যাচ্ছে না সার। তাই দাম একটু বাড়িয়ে অনেকেই বাধ্য হচ্ছেন জমির জন্য প্রয়োজনীয় সার কিনতে।

অপরদিকে, খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ডিলাররা দাম বেশি নিচ্ছেন এবং চাহিদার তুলনায় এমওপি ও টিএসপি সার দিচ্ছে না ডিলাররা।

জানতে চাইলে দাম বেশি নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডিলাররা। বলছেন, চাহিদার তুলনায় কৃষি বিভাগ থেকে বরাদ্দ পেয়েছেন কম; আর কৃষকরা বরাদ্দের তুলনায় বেশি সার ব্যবহার করছেন।

জয়পুরহাট জেলা ফার্টিলাইজার ডিলার এসোসিয়েশনের সভাপতি খালেকুজ্জামান পানু বলেন, সরকারের বরাদ্দ কম থাকায় কৃষকের যে চাহিদা সে পরিমাণ সার আমরা ডিলাররাও পাচ্ছি না। স্বাভাবিকভাবেই সরবরাহও সেরকম হবে না।

কৃষিবিভাগের কর্মকর্তা বলছেন, বর্তমানে সারের কোন সংকট নেই, দাম বেশি নিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জয়পুরহাটের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিডি শফিকুল ইসলাম বলেন, মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। পর্যাপ্ত বরাদ্দ আমাদের আছে সুতরাং সঙ্কটের প্রশ্নই আসে না।

উল্লেখ্য। বর্তমানে এমওপি সার বিক্রি হচ্ছে সাড়ে সাতশ টাকার পরিবর্তে সাড়ে আটশ থেকে ৯শ টাকা আর টিএসপি বিক্রি হচ্ছে ১১শ টাকার পরিবর্তে ১৩শ থেকে সাড়ে ১৩শ’ টাকা। অপরিবর্তিত আছে ডিএপি ও ইউরিয়া সারের দাম।

Exit mobile version