Site icon Jamuna Television

ফাইনালের ময়দানে বন্ধুত্ব ভুলে যাবেন মিচেল ও স্টয়নিস

ফাইনালের মহারণে শৈশবের বন্ধুত্ব ভুলে যাবেন মিচেল ও স্টয়নিস।

ড্যারিল মিচেল ও মার্কাস স্টয়নিস দারুণ দু’জন বন্ধু। ২০০৯ সালে পার্থের প্রথম শ্রেণির দল স্কারবোরোর হয়ে ফার্স্ট গ্রেড প্রিমিয়ারশিপ জিতেছিলেন মিচেল ও স্টয়নিস। সেই সময় তাদের কোচ ছিলেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার। তিনি এখন অস্ট্রেলিয়ার হেড কোচ। সেই সময় দলকে জেতাতে বড় অবদান ছিল মিচেল ও স্টয়নিসের। সেমিফাইনালে স্টয়নিস করেছিলেন ১৮৯ রান। আর ফাইনালে বল হাতে মাত্র ২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন মিচেল। তবে আজ দুবাইয়ের ফাইনালে অজি ও কিউই শিবিরে বিভক্ত হয়ে যাবে এই নস্টালজিয়া। ফাইনালের ময়দানে বন্ধুত্ব ভুলে যাবেন ড্যারিল মিচেল ও মার্কাস স্টয়নিস।

বিশ্বকাপ খেলতে এসে নস্টালজিক হয়ে পড়েন মিচেল। বলেছেন, আমাদের অনেক অন্তরঙ্গ স্মৃতি রয়েছে। পার্থে আমরা শৈশবে দারুণ সময় কাটিয়েছি। একসাথে খেলাধুলার সেই দিনগুলো আজও রোমান্স জাগায়। তবে আমরা যখন প্রতিপক্ষ তখন অন্য হিসাব বাদ। কারণ আমরা যে এবার প্রতিদ্বন্দ্বী!

এবার স্টয়নিস ও মিচেলের ভূমিকা সম্পূর্ণ আলাদা। সেবার দুজনই লড়েছেন কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের হাতে শিরোপা তুলে দিতে। আর এবার একজন প্রস্তুত শিরোপা ছিনিয়ে নিতে। ১ম সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কিউইদের জয়ের নায়ক ছিলেন ৭২ রানে অপরাজিত থাকা কিউই ওপেনার ড্যারিল মিচেল। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে গুরুত্বপূর্ণ ৪০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন স্টয়নিস।

ড্যারিল মিচেল আরও বলেন, স্টয়নিস খুব ভালো বন্ধু। নিজের হাতে ওকে কফি বানিয়ে খাওয়াতাম। এখন ভিন্ন দলে খেললেও বন্ধুত্ব কমেনি। কিন্তু ফাইনালে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলবো না।

২০১১ সালে স্টয়নিস ও মিচেলের পথ আলাদা হয়ে যায়। অজি অলরাউন্ডার স্টইনিস মেলবোর্নে গিয়ে ভিক্টোরিয়ায় যোগ দেন। আর মিচেল ফিরে যান নিজ দেশে। আর তাই তো ফাইনাল ছাপিয়ে বাড়তি নজর থাকছে দুই বন্ধুর দ্বৈরথে।

Exit mobile version