Site icon Jamuna Television

সহকারী শিক্ষকের এলোপাতাড়ি ঘুষি, হাসপাতালে প্রধান শিক্ষক

আহত প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম।

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

অনুপস্থিতি কেটে উপস্থিতির স্বাক্ষর করতে নিষেধ করায় ক্ষিপ্ত সহকারী শিক্ষকের ঘুষিতে রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রধান শিক্ষক। সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকালে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার নামুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে ঘটে।

আহত প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম (৫৮) উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের আদিতমারী আদর্শপাড়া গ্রামের মৃত হাসমত উল্লাহর ছেলে। তিনি নামুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, আদিতমারী উপজেলার নামুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী শিক্ষক ভূপতি রঞ্জন রায় গত বছর নারী ঘটিত অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হন। কয়েক মাস আগে সাময়িক বরখাস্তাদেশ স্থগিত করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিদ্যালয়ে আসেননি। ফলে নিয়মানুযায়ী তার হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত লিখে রাখেন প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলাম।

সোমবার সকালে বিদ্যালয়ে এসে হাজিরা খাতা নিয়ে অনুপস্থিতি কেটে স্বাক্ষর করার চেষ্টা করেন সহকারী শিক্ষক ভুপতি রঞ্জন রায়। এতে বাধা দিলে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি মারপিট ও কিল ঘুষি মারেন সহকারী শিক্ষক ভুপতি রঞ্জন রায়। এতে নাক ফেঁটে অঝোরে রক্ত প্রবাহিত হয়। প্রধান শিক্ষকের চিৎকার শুনে পাশের রুমের শিক্ষকরা এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

এ ঘটনায় হামলার বিচার চেয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক ভুপতি রঞ্জন রায়ের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলাম।

নামুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের পরিচালনা কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন বিপ্লব বলেন, বিদ্যালয়ে অনিয়মিত থাকার কারণে সহকারী শিক্ষক ভুপতিকে বারংবার মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। নিয়মানুযায়ী অনুপস্থিত শিক্ষক-কর্মচারীদের হাজিরা খাতা ঠিক রাখার বিষয়ে কমিটির সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় ভুপতির খাতায় অনুপস্থিত লেখা হয়েছে। এ কারণে ভুপতি প্রধান শিক্ষকের ওপর আক্রমণ করেছেন। থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও ভুপতির বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আদিতমারী থানার ওসি মোক্তারুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Exit mobile version