Site icon Jamuna Television

বিমানবন্দরে সক্রিয় শক্তিশালী মাদক সিন্ডিকেট

শাহজালাল বিমানবন্দরে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠছে শক্তিশালী মাদক সিন্ডিকেট। কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না নানা কৌশলে চলা মাদকের চোরাচালান। মাঝে মাঝে দুয়েকটি চালান আটক করা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় মূল হোতারা। কোনো কোনো ঘটনায় হাতেনাতে ধরা পড়লেও আইনি মারপ্যাঁচে কয়েকদিন না যেতেই জামিনে বেরিয়ে যাচ্ছেন সিন্ডিকেট সদস্যরা।

সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায় সৌদিগামি যাত্রী আবুল বাশারকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে জোর করেই একটি প্যাকেট ব্যাগে ঢুকিয়ে দেন বিমানের কর্মকর্তা পরিচয়ে এক ব্যক্তি। শাহজালালে নিরাপত্তা তল্লাশিতে ধরা না পড়লেও সৌদি যাওয়ার পর ব্যাগ পরীক্ষা করে দেখা যায় আচারের প্যাকেটের নামে ওই প্যাকেটে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে প্রায় চার হাজার ইয়াবা। সৌদি আদালতে ২০ বছর জেল দেয়া হয় আবুল বাশারকে। জেল থেকে স্ত্রী রাবেয়াকে ঘটনা জানিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বাশার। সেই থেকে নিরাপধরাধ বাশার জেল খাটছেন কিন্তু ধরা ছোঁয়ার বাইরে মূল হোতারা।

এদিকে বিমানবন্দরসহ নানা জায়গায় একমাত্র সন্তানসহ ঘুরে ঘুরে স্বামীর জন্য সাহায্য খুঁজছেন বাশারের স্ত্রী রাহেলা। বিমানবন্দর এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়ে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন তারা। এই কর্মকর্তা জানালেন, আটক করা হলেও বেশিদিন হাজতে রাখা যায় না এসব সিন্ডিকেট সদস্যদের। পরিছন্নতার কাজে নিয়োজিত একে ট্রেডার্সের সুপারভাইজার নুর মোহাম্মদকে হস্তান্তর করা হয় বিমান বন্দর থানায় দায়ের করা মালায়। কিন্তু কয়েকদিন না যেতেই জামিনে বেরিয়ে যান একে ট্রেডার্সের ঐ কর্মকর্তা।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এ এইচ এম তৌহিদ-উল-আহসান জানালেন, করোনা মহামারির লকডাউন শিথিল হওয়ার সাথে সাথে মাদক চোরাচালন সিন্ডিকেটও সক্রিয় হয়ে উঠছে বিমানবন্দরে। নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ ফাঁকি দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে নতুন নতুন কৌশল। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিমানবন্দর কতৃপক্ষও।

Exit mobile version