Site icon Jamuna Television

নির্বাচনী সংঘাত ঠেকানোর উপায় কি এটাই?

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাত-সহিংসতা থামানো যেন বড় চ্যালেঞ্জ। বেশিরভাগ স্থানেই মারামারিতে জড়াচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পাওয়া আর পদবঞ্চিত প্রার্থীর লোকজন। তৃতীয় ধাপের এই ভোটকে সামনে রেখে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে নেমেছে পুলিশ।

গেল দুই ধাপের ইউপি নির্বাচনেই দেশজুড়ে দেখা গেছে সংঘাত-সহিংসতা। ঝড়েছে ৩০ জনেরও বেশি প্রাণ। তবে এসব ঘটনার সবই নির্বাচনী সহিংসতা কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। তিনি এ বিষয়ে আরও অনুসন্ধান করতে বলেছেন সংশ্লিষ্টদের।

তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সাফ জবাব, সব ঘটনা ভোটেরই সহিংসতা। আর দলীয় প্রার্থীরা দায় চাপাচ্ছে প্রতিপক্ষের ওপর। এবারের নির্বাচনে অবস্থাটা দাঁড়িয়েছে এমন যে, বেশিরভাগ জায়গায়ই নৌকার প্রতিপক্ষ নিজ দলেরই মানুষ। তাই সংঘাত নিজেদের মধ্যেই। কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রওশন আলী জানালেন, এমনকি স্থানীয় বড় নেতাদের হস্তক্ষেপেও থামানো যাচ্ছে না এমন সংঘাত।

এমন বাস্তবতায় আবারও নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা। সিইসির বক্তব্যেরও কড়া সমালোচনা করেছেন নির্বাচন বিশ্লেষক আখতার কবির চৌধুরী।

গত দুধাপেই ছিলো অস্ত্রের ব্যবহার। তৃতীয় ধাপের নির্বাচন সামনে রেখে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

প্রসঙ্গত, আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে ১ হাজারেরও বেশি ইউনিয়নে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

Exit mobile version