Site icon Jamuna Television

ছন্দ কাজে লাগাতে না পারার মাশুল গুনতে হলো ম্যাচ হেরে

শাদাব ও নাওয়াজের জুটিতে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।

একাদশে নতুনত্ব এনেও পুরোনো অসুখ সারাতে পারলো না বাংলাদেশ। পাকিস্তানের সাথে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দারুণ খেলে জয়ের আশা জাগিয়েও কেবল ছন্দ কাজে লাগাতে না পারার ভুল আবারও করলো বাংলাদেশ। আর এতেই পাকিস্তানের কাছে বরণ করতে হলো ৪ উইকেটের পরাজয়।

বাংলাদেশের দেয়া ১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মোস্তাফিজ ও তাসকিন দলকে এনে দেন উড়ন্ত সূচনা। বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে এই দুই স্ট্রাইক বোলার শিকার করার পর হায়দার আলিকে ফেরান মেহেদী হাসান। নুরুল হাসান সোহানের উপস্থিত বুদ্ধি ও ক্ষিপ্রতায় শোয়েব মালিকও সাজঘরে ফিরলে পাকিস্তানকে হারানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। টাইগারদের দুর্দান্ত শরীরী ভাষায় কোণঠাসা হয়ে পড়ে শক্তিশালী পাকিস্তান। ৬ ওভারে ২৪ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের কাছে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও যেন হারায় পাকিস্তান।

কিন্তু তারপরই এই ছন্দ হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। টার্গেট ছোট হওয়ায় ফখর মানা ও খুশদিল শাহর ৫০ বলে ৫৬ রানের জুটিতে জয়ের দিকে এগোতে থাকে পাকিস্তান। কিন্তু বিপজ্জনক হতে থাকা ফখর জামান যখন তাসকিন আহমেদের শিকার হয়ে ফিরে যান, তখন ম্যাচ কিছুটা হেলে যায় বাংলাদেশের দিকে। তবে ফখর জামান ও খুশদিল শাহর ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ধুঁকতে থাকা পাকিস্তান। আর পাকিস্তানের রান তাড়ায় এই ম্যাচে তাদের প্রধান ভরসায় পরিণত হওয়া ফখর জামানকে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে তোলেন তাসকিন আহমেদ। তারপর খুশদিলকে আউট করেম শরিফুল।

তবে ফখর জামান ও খুশদিল শাহর উইকেট হারিয়ে রান-বলের সমীকরণ মেলানোর যে কঠিন চাপে পড়েছিল, তা যেন মোস্তাফিজুর রহমানের করা ১৮-তম ওভারেই দূর করে দেন শাদাব খান ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। তারপর শরিফুল ইসলামের বলে লং অন এবং স্কয়ার লেগ দিয়ে হাঁকানো নাওয়াজের দুই ছয়ে জয়ের আরও কাছে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ১৮ ও ১৯-তম ওভারে মোস্তাফিজ ও শরিফুল যথাক্রমে ১৮ ও ১৫ রান হজম করলে ডেথ ওভারে টাইগারদের বোলিং অদক্ষ্যতা আরও প্রকটভাবে ফুটে ওঠে। শেষ ওভারে প্রথমবারের মতো বল করতে আসেন দলের বিশেষজ্ঞ লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম। প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন শাদাব খান।

বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন নেন ২ উইকেট। আর একটি করে উইকেট দখল করেছেন মেহেদী, মোস্তাফিজ ও শরিফুল। তবে বিশেষজ্ঞ লেগস্পিনারকে কেন ম্যাচের শেষ ওভারের আগে ব্যবহার করলেন না অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ, সে সম্পর্কে জানা যায়নি কিছুই।

এর আগে, লেট মিডল অর্ডারদের লড়াইয়ে পাকিস্তানকে ১২৮ রানের টার্গেট দিয়েছিল বাংলাদেশ। আফিফ ৩৬, মেহেদী ৩০ ও সোহান করেন ২৮ রান।

Exit mobile version