Site icon Jamuna Television

পরিবেশ রক্ষায় প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করছেন ইন্দোনেশিয়ার বাটিক শিল্পী

পরিবেশ সুরক্ষায় কৃত্রিম রং ব্যবহার পরিহার করেছেন সোদিকিন নামে ইন্দোনেশিয়ার এক বাটিক শিল্পী। এর বদলে ব্যবহার করছেন প্রকৃতি থেকে পাওয়া বিভিন্ন উপাদান। ফল, পাতা, গাছের মূল দিয়েই তৈরি করছেন কাপড়ের রং। ন্যাচারাল ডাইয়ের এসব কাপড়ের চাহিদাও বেড়েছে দেশটিতে।

৪৮ বছর বয়সী সোদিকিন পেশায় একজন বাটিক শিল্পী। ডাইয়ের ক্ষেত্রে আগে কৃত্রিম রং ব্যবহার করলেও, গত চার বছর ধরেই কাজ করছেন প্রাকৃতিক রং নিয়ে। পরিবেশ সুরক্ষার চিন্তা থেকেই নিয়েছিলেন এমন সিদ্ধান্ত।

সোদিকিন জানান, কখনওই গাছ কাটি না। যেসব ফল বা পাতা নিচে পড়ে সেগুলোই কাজে লাগাই। যখন থেকে প্রাকৃতিক কাঁচামাল ব্যবহার শুরু করেছি, আমাদের রোজগার বেড়ে গেছে। রংয়ের মান আরও ভালো। সেরা ফলাফলের জন্য কখনও কখনও ১০ থেকে ৪০বার পর্যন্ত ডাই করতে হয়।

সিনথেটিক ডাইয়ের তুলনায় অনুজ্জ্বল হলেও মান ও স্থায়িত্বের দিক থেকে বেশি টেকসই প্রাকৃতিক রং। ইন্দোনেশিয়ার বাজারে দিন দিনই জনপ্রিয় হচ্ছে ন্যাচারাল ডাইয়ের ব্যবহার।

ম্যানগ্রোভ বিশেষজ্ঞ এরউইন আর্ডলি বলেন, সিনথেটিক ডাইয়ের তুলনায় প্রাকৃতিকের রং কিছুটা হালকা হয়। তবে স্থায়িত্ব বেশি। দ্বিগুণ বা তিন গুণ টেকসই। মানের দিক থেকেও অনেক ভালো। কারণ কৃত্রিম রং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।

সিনথেটিক রংয়ের বাটিকের তুলনায় প্রাকৃতিক রংয়ে করা বাটিক কাপড়ের দাম তুলনামূলক বেশি।

ব্যবহারকারীরা জানান, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের মানুষ গর্বের সাথেই ন্যাচারাল ডাইয়ের পোশাক ব্যবহার করছে। কৃত্রিম রংয়ের তুলনায় যদিও খরচ কিছুটা বেশি পড়ে। বাটিক প্রিন্টে সিনথেটিক রং হলে দাম ৭ থেকে সাড়ে দশ ডলার। তবে ন্যাচারাল ডাইয়ের বেলায় দাম দাঁড়ায় ২১ ডলারের মতো।

ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম এক ঐতিহ্য বাটিক। আর এতে প্রাকৃতিক রং ব্যবহার উৎসাহিত করছে দেশটির সরকারও।

Exit mobile version