Site icon Jamuna Television

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত কানাডায় মৃত্যু বেড়েই চলেছে

বন্যা-ভূমিধসে বিপর্যস্ত কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় আরও তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২০ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির জরুরি বিভাগ।

জানায় ভূমিধসের কারণে মৃত্যু হয় তাদের। গত রোববার শুরু হওয়া টানা দুদিনের রেকর্ড বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ডুবে যায় ভ্যাঙ্কুয়েভার বন্দরসহ বহু রাস্তাঘাট, রেলওয়ে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকার অনেক শহর। পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশটিতে জারি করা হয় জরুরি অবস্থা। এখনও রাজ্যটির ৫০ শতাংশ কৃষিজমি পানির নিচে। কিছু জায়গায় পানি সরে গেলেও জলাবদ্ধতা কাটেনি। বিধ্বস্ত রাস্তাঘাট সংস্কারে কাজ করছে জরুরি বিভাগ। এখনও খাবার ও জ্বালানি সংকটে ভুগছে বাসিন্দারা। ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী।

কানাডার মতো উন্নত দেশে বন্যা-ভূমিধস খুবই বিরল দৃশ্য। কিন্তু সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগেই হিমশিম খাচ্ছেন ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার নাগরিকরা। ৫০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখছে দেশটি।

ঘরবাড়ি বিধ্বস্তের কারণে অনেকেই রাত কাটাচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। জীবিকার জন্য নির্ভরশীল ফসলের মাঠও পানিতে থৈ থৈ। ভেসে গেছে শেষ ভরসা গবাদি পশুগুলোও। তাদের সহযোগিতা আর উদ্ধারে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে দুর্গত এলাকায়।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, সেনাবাহিনী এরইমধ্যে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার করেছে তিন শতাধিক মানুষকে। অ্যাবুটসফোর্ডে কাজ শুরু করবেন ১২০ সেনা সদস্য। আর অ্যাডমেন্টনে সাড়ে তিনশ সেনাকে মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজনে স্থানীয় নৃ-গোষ্ঠীগুলোর সহযোগিতা নেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্যের জন নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী মাইক ফ্রানসওর্থ বলেন, সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ। এখনও হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন, গবাদি পশুও ভেসে গেছে বন্যার পানিতে। তাদের খাবার, সুপেয় পানি, ওষুধ সরবরাহের ওপর জোর দিচ্ছি। একইসাথে, সড়ক ও সেতু সংযোগ দ্রুত সংস্কার করবে রাজ্য প্রশাসন। খুব শিগগিরই বন্ধ থাকা ভ্যানকুবার বন্দর চালুর ব্যাপারেও আমরা আশাবাদী।

Exit mobile version