Site icon Jamuna Television

শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজ পেয়েই চীনকে হুঁশিয়ারি ভারতের

ভারতের নৌবহরে যুক্ত হলো মিসাইল ধ্বংসকারী শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজ। আইএনএস বিশাখাপত্তনম নামের ওই জাহাজ শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান, ড্রোন এমনকি ক্ষেপণাস্ত্রও ধ্বংস করতে সক্ষম। দিল্লির দাবি, এই যুদ্ধজাহাজ যুক্ত করার ফলে সমুদ্র পথের শত্রু মোকাবেলায় আরও শক্তি অর্জন করলো তারা। জাহাজটি পেয়েই চীনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সমুদ্র আইন মেনে চলার তাগাদা দেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

নিজেদের সমুদ্রসীমাকে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করতে নতুন এই মিসাইল ধ্বংসকারী যুদ্ধজাহাজের যাত্রা শুরু করলো ভারত। প্রায় সাড়ে ৭ হাজার টন ওজনের এই জাহাজটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক সব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

ভারতের নৌবাহিনী জানায়, এটি থেকে ছোঁড়া স্বল্প পাল্লার র‍্যামজেট সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল আকাশের যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে সরাসরি আঘাত হানতে সক্ষম। ধ্বংস করতে পারবে শত্রুপক্ষের ছোঁড়া মিসাইল, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমানও।

নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং বলছেন, তাদের ৪১টি জাহাজ এবং সাবমেরিনের মধ্যে ৩৯টিই নিজেদের শিপইয়ার্জে কৈরি করা হচ্ছে। এই উন্নয়ন গোটা বিশ্ব দেখছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ভারতীয় নৌবাহিনী হিসেবে যা আমাদের সম্মিলিত প্রেরণার সাক্ষী হয়ে থাকবে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ আজকের এই অর্জন বলেও উল্লেখ করেন ওই নৌবাহিনী কর্মকর্তা।

১৬ টি ব্রাহ্মস মিসাইল দিয়ে সজ্জিত এই জাহাজটি রোববার উদ্বোধন করেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এসময় তিনি চীনকে ইঙ্গিত করে বলেন, সমুদ্র আইনের ইচ্ছে মতো ব্যাখ্যা দেয়ার দিন শেষ। এখন যে কোনো হুমকির জবাব দিতে প্রস্তুত ভারত। তিনি বলেন, কিছু দায়িত্বজ্ঞানহীন দেশ তাদের স্বার্থের জন্য সমুদ্র আইন সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা করছে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে অনেকে আধিপত্য বিস্তার করে আইনের সংজ্ঞাকে হালকা করে ফেলছে। কিন্তু দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে ভারত সবসময় ঐকমত্য নীতি, শান্তিপূর্ণ, উন্মুক্ত এবং স্থিতিশীল সমুদ্র ব্যবস্থাকে সমর্থন করে।

১৩৬ মিটার দীর্ঘ এই যুদ্ধ জাহাজটিতে রয়েছে চারটি গ্যাস টারবাইন ইঞ্জিন। ঘণ্টায় এর গতিবেগ ৫৫ কিলোমিটার বেশি। জাহাজটি একটানা চলতি পারবে দেড় মাস পর্যন্ত।

Exit mobile version