Site icon Jamuna Television

গাইবান্ধা কারাগারে দুই হাজতি গ্রুপের সংঘর্ষ, জেলারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

রংপুর বিভাগের কারা উপ-মহাপরির্দশক মো. আলতাব হোসেন গাইবান্ধা জেলা কারাগার পরির্দশন করেছেন। কারাগারের ভেতর বন্দি দুই হাজতি গ্রুপের মারামারিতে কারারক্ষী ও হাজতি আহতের ঘটনায় কারাগার পরির্দশনে আসেন তিনি। সেখানে কারাবন্দিরা জেলার আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।

রোববার (২১ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পৌঁছান কারা উপ-মহাপরির্দশক মো. আলতাব হোসেন। পরে ভেতরে প্রবেশ করে বন্দিদের সাথে আলোচনা করেন তিনি। এ সময় কয়েদি ও হাজতিরা জেলার আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ করেন বলে জানা গেছে। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পরির্দশন শেষ করেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পরির্দশনে আসা কারা উপ-মহাপরির্দশক মো. আলতাব হোসেন বলেন, ‘কারাগার পরির্দশন করে বন্দিসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হয়েছে। হাতাহাতির ঘটনাসহ কারাগারের সার্বিক বিষয় তিনি দেখভাল করছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে দ্রুতই জেল সুপার প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।

এরআগে, শুক্রবার দুপুরে হঠাৎ কারাগারের ভেতরে দুই হাজতি গ্রুপের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে দুই কারারক্ষীসহ ৪ হাজতি আহত হন। ঘটনার পর অভিযুক্ত শাদ মাহমুদ সৈকত, কাঞ্চন ও ওসি নামের তিন হাজতিকে স্থানান্তর (বদলি) করা হয় দিনাজপুর জেলা কারাগারে। কাঞ্চন ও সৈকত ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রকি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি।

সম্প্রতি কারাগার থেকে জামিনে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজনের অভিযোগ, জেলার আমজাদ হোসেন ডনের সাথে সখ্যতা থাকায় কাঞ্চন ও সৈকতসহ ৭-৮ জন হাজতি কারাগারে প্রভাব বিস্তার করেন। তারা নানা কারণে সাধারণ বন্দিদের মারধরসহ অত্যাচার করেন। দীর্ঘদিন ধরে জেলার আমজাদ হোসেন কিছু হাজতি-কয়েদি এবং কারারক্ষীদের দিয়ে ক্যান্টিন থেকে শুরু করে কারাগারের ভেতর-বাহির নিয়ন্ত্রণ করে অর্থ-বাণিজ্য ও অনিয়ম-দুর্নীতি চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।

এদিকে, কারাগারে দুই গ্রুপের মারধরের ঘটনা ফাঁসের পর নতুন করে কারাগারে অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ উঠেছে জেলার আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। যমুনা টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারের পর দিনভর কারা ভোগকরা জেলার অনেকেই এ প্রতিবেদককে অনিয়ম-দুর্নীতি, অর্থ বাণিজ্যসহ কারাগারে বন্দী-স্বজনদের জিম্মির নানা তথ্য জানান। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলার আমজাদ হোসেন মুঠফোনে দাবি করেন, যারা এগুলো বলছে তারা মিথ্যা কথা বলছে।

Exit mobile version