Site icon Jamuna Television

হৃৎপিণ্ড ছাড়াই সমাহিত করা হয়েছিল ম্যারাডোনাকে!

দিয়েগো ম্যারাডোনার জীবন ও মৃত্যু দুটোই যেন মিথের সমষ্টি। ছবি: সংগৃহীত

আর্জেন্টাইন নিউরোলজিস্ট ও টিভি উপস্থাপক নেলসন কাস্ত্রো বলেছেন, কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনাকে সমাহিত করা হলেও সেই কফিনে ছিল না তার হৃৎপিণ্ড।

আগামী ২৫ নভেম্বর পূর্ণ হতে যাচ্ছে ম্যারাডোনার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। কিন্তু এই ফুটবল কিংবদন্তির মৃত্যু ঘিরে এখনও চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। চিকিৎসকদের দায়িত্বে অবহেলাজনিত কারণে ম্যারাডোনার মৃত্যু ঘটেছে, এমন অনেক কথা এবং তার সপক্ষে বিভিন্ন প্রমাণের ব্যাপারেও শোনা যাচ্ছে। আর এরই মাঝে ম্যারাডোনার মৃত্যুবার্ষিকীকে সামনে রেখে করা একটি অনুষ্ঠানে হৃৎপিণ্ডহীন ম্যারাডোনাকে সমাহিত করার দাবি তোলেন কাস্ত্রো।

ব্রেন সার্জারির পর হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ৬০ বছর বয়সে মারা যান ম্যারাডোনা। তবে ম্যারাডোনার জীবনের মতো, তার মৃত্যু নিয়েও বিতর্কের শেষ নেই। নেলসন কাস্ত্রো তার ‘দ্য হেলথ অব দিয়েগো’ বইতে আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বরের জীবনের শেষ দিনগুলো নিয়ে অনুসন্ধানী অনেক কথাই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ম্যারাডোনার জীবন বাঁচানোর জন্য একটি মেডিকেল দল কাজ করছিল। এবং সঙ্গত কারণেই তাদের কাজটি ছিল বেশ কঠিন। সে সময়কার ফাইলগুলো ম্যারাডোনার আত্মজীবনী রচনার কাজে আসবে। যদিও সেখানে এমন অনেক তথ্যই ছিল যা মানুষ জানে না।

ছবি: সংগৃহীত

আর্জেন্টাইন টিভি চ্যানেল ‘এল ট্রেস’ অনুষ্ঠানে নেলসন কাস্ত্রোর বইয়ের কিছু তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে হুয়ানা ভায়ালেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে কাস্ত্রো বলেন, হাসপাতালে সে সময় জিমনাসিয়া লা প্লাতার (মৃত্যুর আগে ম্যারাডোনা যে ক্লাবের কোচ ছিলেন) কয়েকজন সমর্থক ছিলেন। ম্যারাডোনার হৃৎপিণ্ডই ছিল তাদের আরাধ্য। তবে তারা সফল হয়নি এ কারণে নয় যে, কাজটা দারুণ দুঃসাহসী ছিল। বরং এমন কিছু ঘটতে পারে ভেবে আগেই ম্যারাডোনার শরীর থেকে হৃৎপিণ্ড বের করে আনা হয়। তাছাড়া এই কিংবদন্তির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্যও তার হৃৎপিণ্ড জরুরি ছিল। সে কারণেই বলা যায়, হৃৎপিণ্ড ছাড়াই সমাহিত করা হয়েছিল ম্যারাডোনাকে।

কাস্ত্রো আরও জানান, ম্যারাডোনার হৃৎপিণ্ডের ওজন ছিল আধা কেজি, যেখানে স্বাভাবিক মানুষের হৃৎপিণ্ড হয় ৩০০ গ্রাম। ম্যারাডোনার হৃৎপিণ্ডের এই অস্বাভাবিকতার কারণ বেশ কয়েকটা। হৃদরোগে আক্রান্ত এই ফুটবল জাদুকরের হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। তবে শারীরিক অবস্থার সাপেক্ষে বলতে হয়, ম্যারাডোনার শরীর ছিল আশির্বাদপুষ্ট। তার অবস্থায় থাকলে যে কেউই আরও আগেই মারা যেত। সমস্যা হচ্ছে, ম্যারাডোনা নিজেও হয়তো সম্পূর্ণ সুস্থতা কখনই চায়নি।

Exit mobile version