Site icon Jamuna Television

সাভারে মিঠুনের ‘ঢাকা-অ্যাটাক’; বল হাতে একাই নিলেন ৭ উইকেট!

ব্যাট হাতে একের পর এক ব্যর্থতায় নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে ঠাঁই পাচ্ছেন না জাতীয় দলে। সামাজিকমাধ্যমেও বহুদিন ধরে ট্রোলের লক্ষ্যবস্তু তিনি। কিছুতেই যেন ধরা দিচ্ছিল না খেলা দিয়ে জবাব দেয়ার উপলক্ষ। ব্যাটে না হলেও এবার মিঠুন জবাব দিলেন বটে! বল হাতে খুলনার হয়ে একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ঢাকাকে।

মঙ্গলবার জাতীয় লীগের টায়ার ওয়ানের ম্যাচে ঢাকা বিভাগের বিভাগের বিপক্ষে খুলনা অধিনায়ক মিঠুন নিয়েছেন ৭ উইকেট। ম্যাচের তৃতীয় দিনে ৮ উইকেটে ২৫৬ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে ঢাকা, খুলনার সামনে দেয় ৩৭৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা। ঢাকার পতন হওয়া এই ৮ উইকেটের ১টি মাত্র নিয়েছেন খুলনার টিপু সুলতান, বাকি সবগুলোই নিয়েছেন মিঠুন।

জাতীয় দল বা জাতীয় লীগে উইকেটকিপারের ভূমিকায় মিঠুন বেশ পরিচিত মুখ। কিন্তু এরই মাঝে ১০৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে অল্পবিস্তর বোলিং করে ৬টি উইকেটও ছিল মিঠুনের। তাই ঢাকাকে গুঁড়িয়ে দেবার মতোই যেন বিশেষ হয়ে থাকলো মিঠুনের নিজেই নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়ার এই অর্জন।

ঢাকার দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেনার আবদুল মজিদ ও রনি তালুকদারের ১৩৯ রানের জুটি গড়েন। মূলত তখনই গড়ে ওঠে খুলনার বিরুদ্ধে ঢাকার বড় টার্গেট ছুঁড়ে দেবার ভিত। কিন্তু এরপরের গল্পটা শুধুই মিঠুনময়। উইকেটগুলোও প্রতাপের সাথেই নিয়েছেন মিঠুন। ৭টির মধ্যে চারটি উইকেটই পেয়েছেন অন্যদের সাহায্য ছাড়াই- বোল্ড আর তিনটি এলবিডব্লিউ!

মিঠুনের রেকর্ডগড়া সেই পর ২৫৬ রানে থামে ঢাকার চাকা। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে বিনা উইকেটে ৭ রান করে খুলনা।

অবশ্য বল হাতে ম্যাচে যতটা দ্যুতি ছড়িয়েছেন মিঠুন, ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ছিলেন ততটাই বিবর্ণ। ১৯ বলে ৩ রান করে বোল্ড হয়ে ফিরে গিয়েছিলেন শুভাগত হোম চৌধুরীর অফস্পিনে। এবার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে কী করেন মিঠুন, সেটিই দেখার বিষয়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ঢাকা (১ম ইনিংস) ৩৩৫ (মাহিদুল ৯২, রনি ৪৮ : সৌম্য ৩-৩৬
খুলনা (১ম ইনিংস) ২১৩ (সৌম্য ৬৫, এনামুল ১৭ : সুমন ৩-৫২
ঢাকা (২য় ইনিংস) ২৫৬/৮ (রনি ৮৭, আব্দুল মজিদ ৬৭ : মিঠুন ৭-৭৫
খুলনা (২য় ইনিংস) ৭-০ (ইমরুল ১*, অমিত ২*)

Exit mobile version