Site icon Jamuna Television

আনুষ্ঠানিকভাবে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন মাহমুদউল্লাহ

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ফাইল ছবি।

সাদা পোশাকে তার খেলা না খেলা নিয়ে টানাপোড়েনটা বেশ কিছুদিনের। বাংলাদেশের হয়ে শততম টেস্ট খেলতে না পারার যাতনা তো আছেই। সবশেষ গত জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে সেঞ্চুরি করেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিতে চেয়েছিলেন টাইগারদের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেবার অবশ্য শুধুমাত্র টিমমেটদের জানিয়েছিলেন বিষয়টি। তাকে গার্ড অফ অনারও দিয়েছিলেন তারা। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যম ও বিসিবিকে কিছুই জানাননি।

অবশেষে বুধবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি জানিয়েছে, টেস্ট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নিয়ে ফেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। ফলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুই টেস্ট সিরিজে রিয়াদের ফিরে আসার ন্যূনতম সম্ভাবনা যারা দেখছিলেন তাদের আশায় গুঁড়ে বালি। সবশেষ ইনিংসটিতে করা ক্যারিয়ার সেরা ১৫০‌র পর রিয়াদের অবসরের চূড়ান্ত ঘোষণা তার ভক্তদের যে হতাশ করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অবশ্য বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সাদা পোশাকের তালিকা থেকে আগেই বাদ পড়েছিলেন তিনি।

২০০৯ সালে কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অভিষেক হয় রিয়াদের। বাংলাদেশের হয়ে মোট ৫০টি টেস্ট খেলেছেন রিয়াদ। যেখানে ৩৩‌র বেশি অ্যাভারেজ নিয়ে রান করেছেন ২ হাজার ৯১৪। ৫টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি আছে ১৬টি অর্ধশতকও। ১২ বছরের ক্যারিয়ারে অনেক উত্থান-পতন ছিল। শ্রীলঙ্কায় গিয়েও শততম টেস্টের আগে দল থেকে বাদ পড়ায় দেশে ফিরে আসতে হয়েছিল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ টেস্টে ক্যারিয়ার সেরা ১৫০ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজের শেষ টেস্টে দলের বিপদের সময় এই রান করেন রিয়াদ।

বল হাতেও কম যাননি রিয়াদ। ৫০ ম্যাচ খেললেও মোট ৬৬ ইনিংসে হাত ঘোরান এ অলরাউন্ডার। যেখানে তিনি উইকেট নিয়েছেন ৪৩টি। তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার ৫১ রান দিয়ে ৫ উইকেট যেটি অভিষেক টেস্টেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই। ম্যাচটি জিতেছিল বাংলাদেশ। বিদেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পাইয়ে দেয়া ম্যাচে বড় অবদান ছিল ‌‌‌‌’আনসাং হিরো‌’র।



Exit mobile version