ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ঢাকার রামপুরায় অনাবিল বাসের চাপায় নিহত স্কুলছাত্র মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়ের (১৭) মরদেহের অপেক্ষা করছেন তার স্বজনরা। তার নানাবাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার হালুয়া পাড়া গ্রামে জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হবে।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে তার নানা বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সব আত্মীয়স্বজন বাড়ির সামনে বসে আছে প্রিয় মুখখানা একনজর দেখার জন্য। অনেকেই আবার হাউমাউ করে কেঁদে উঠছেন। তার অকালমৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের লোকজন।
নিহতের পরিবার জানায়, তিন ভাই-বোনের মধ্যে দুর্জয় ছিল সবার ছোট। তার বড় ভাই মনির ঢাকাতে প্রাইভেট গাড়ি চালায়। বড় বোন ঝুমা আক্তারের বিয়ে হয়ে গেছে। খালাতো বোন আমোদা বেগম গত (২৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড সদস্যপদে বিজয়ী হয়েছেন। সরাইলে নানাবাড়ি এসে বোনের বিজয় উপলক্ষ্যে আনন্দ আয়োজনে শামিল হওয়ার কথা ছিল দুর্জয়ের। কিন্তু আনন্দের বদলে স্বজনদের জন্য বিষাদের পাহাড় নিয়ে বাড়ি আসছেন দুর্জয়।
আরও পড়ুন: শর্ত দিয়ে হাফ ভাড়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান শিক্ষার্থীদের
নিহতের খালা আফিয়া বেগম বলেন, সম্প্রতি দুর্জয়ের এসএসসি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সে বলেছিল নানা বাড়িতে বেড়াতে আসবে। এখন ফিরবে নিথর দেহ নিয়ে। তার বাবা অনেক কষ্টের মধ্যেও তার পড়ালেখা বন্ধ করেনি। সে ছাত্র হিসেবে অনেক মেধাবী ছিল। পড়ালেখার পাশাপাশি বাবাকেও কাজে সাহায্য করতো।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকার রামপুরা এলাকায় গ্রিন অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় দুর্জয় নিহত হয়। সে রামপুরার একটি স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল।

