Site icon Jamuna Television

ইরান-পাঁচ পরাশক্তি পরমাণু আলোচনায় ইসরায়েলের মাথাব্যথা; যুক্তরাষ্ট্রকে দুষলো রাশিয়া

ছবি: সংগৃহীত

ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে ইরানের সাথে আলোচনা চলছে ৫ বিশ্ব পরাশক্তির। কিন্তু এটি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসরায়েলের জন্য। পরমাণু কর্মসূচি প্রত্যাহার ছাড়াই তেহরান নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি পেতে পারে বলে উদ্বেগ জানিয়েছে দেশটি।

ইরান ও ছয় বিশ্বশক্তির পরমাণু চুক্তি পুনরুদ্ধারে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুনে বৈঠক হয়েছে ছয় দফায়। তবে এখনও হয়নি তেমন কোনো অগ্রগতি। ৫ মাসের মাথায় ভিয়েনায় নতুন করে শুরু হওয়া বৈঠক নিয়ে ইতিবাচক মনোভব দেখিয়েছে সব পক্ষ।

পরাশক্তিদের এই আলোচনার অংশ নয় ইসরায়েল। তবুও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা জানিয়ে আসছে দেশটি। ২০০৫ সালেও চুক্তির বিরোধিতা করেছিল তেল আবিব। ইরানের বিরুদ্ধে হুমকি-ধামকিও দিয়েছে বহুবার। এবার পশ্চিমা পক্ষের তোড়জোরে শঙ্কায় ইসরায়েল। পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি বন্ধ না করলেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হতে পারে তেহরানের ওপর থেকে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি নাফতালি বেনেট বলেন, ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সম্ভাবনায় ইসরায়েল খুবই উদ্বিগ্ন। ইরান সন্তোষজনক পদক্ষেপ নেয়ার আগেই এমন উদ্যোগ ঠিক হবে না। দেশটিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের প্রবাহ তৈরি হবে এতে।

এদিকে পরমাণু চুক্তি নিয়ে সংকটের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছে রাশিয়া। ভিয়েনায় বৈঠক শুরুর পর চুক্তি ফিরিয়ে আনা ও তা কার্যকর করার বিষয়ে আশাবাদ জানিয়েছে মস্কো।

জাতিসংঘে রাশিয়ার প্রতিনিধি দিমিত্রি পলিয়ানস্কি জানান, যুক্তরাষ্ট্রকে মনে করিয়ে দিতে চাই, তাদের আগের প্রশাসন চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরই সংকট বাড়ে। পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যায়। তাই প্রথমত যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে আনার বিষয়টিকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি।

ভিয়েনার বৈঠকে ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়ার প্রতিনিধিদের পাশাপাশি ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা। আলোচনার টেবিলে সরাসরি না থাকলেও ইইউ’র মাধ্যমে পরোক্ষভাবে যুক্ত যুক্তরাষ্ট্র।

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত রাখতে ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সাথে চুক্তি হয় ইরানের। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর একের পর এক শর্ত ভঙ্গ করে তেহরান। বাড়াতে থাকে ইউরেনিয়ামের মজুদ।

Exit mobile version