Site icon Jamuna Television

তাইওয়ান ইস্যুতে শিনজো আবের মন্তব্য, জাপানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে বেইজিং

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে'র মন্তব্য নিয়ে উতপ্ত হয়ে উঠেছে চীন-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্ক।

জরুরি বৈঠকের জন্য বেইজিং এ নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চীন তাইওয়ানে আক্রমণ চালালে যুক্তরাষ্ট্র বা জাপান চুপ থাকবে না বলে মন্তব্য করেছিলেন জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তার এ মন্তব্যর পরই জাপানের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠালো চীন।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) মি. আবের এ মন্তব্যকে ভুল এবং চীন ও জাপানের মধ্যকার সম্পর্কের মৌলিক নীতির বিরুদ্ধ বলে আখ্যা দিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হুয়া চুনিং। চীনে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত হিদেও তারুমির সাথে এক বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মি. চুনিং এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, আবের মন্তব্য চীনের সার্বভৌমত্বের জন্য চ্যালেঞ্জ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে, যা তাইওয়ানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী শক্তিকে নির্লজ্জভাবে সমর্থন যোগাচ্ছে। চীন এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রদূতকে তলবের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জাপান মন্ত্রিসভার মুখ্যসচিব হিরোকাজু মাতসুনো বলেন, চীনের এ পদক্ষেপের ব্যাপারে জাপান একমত নয়। সরকারে না থাকা ব্যক্তিদের কোনও মন্তব্য নিয়ে কোনো কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয়ার এখতিয়ার নেই জাপান সরকারের। তাদের এটা বোঝা উচিৎ যে, জাপানে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা তাইওয়ান ইস্যুতে এ ধরনের মনোভাব ধারণ করেন। আর জাপানও এরকম স্পর্শকাতর ব্যাপারে চীনের একপাক্ষিক কার্যাবলী কোনো আপত্তি ছাড়া মেনে নিতে পারে না।

উল্লেখ্য, মি. আবে ২০২০ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও এখনও দেশটির ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সবচেয়ে বড় অংশের প্রধান তিনি, স্বাভাবিকভাবেই দলের ভেতরেও বেশ প্রভাবশালী মি. শিনজো আবে।

এর আগে, গত বুধবার (১ ডিসেম্বর) এক অনলাইন ফোরামে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছিলেন, জাপানের সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ, সাকিশিমা দ্বীপপুঞ্জ এবং ইয়োনাগুনি দ্বীপ তাইওয়ান থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তাইওয়ানে সশস্ত্র আক্রমণ জাপানের জন্যও বিপদজনক হতে পারে।
/এসএইচ

Exit mobile version