Site icon Jamuna Television

ওমিক্রন আতঙ্কে বাতিল বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা’র সম্মেলন, শঙ্কায় দেশি ব্যবসায়ীরা

ছবি: সংগৃহীত

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের ধাক্কায় বাতিল হয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সম্মেলন। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে জানা যাবে ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে ওমিক্রনের আঘাতের চিত্র। পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, এখনও পোশাকের পর্যাপ্ত ক্রয় আদেশ আছে, দ্রুত রফতানির জন্য জাহাজীকরণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন তারা।

দু’বছরের মাথায় আবারও বিশ্ববাজারে করোনার নতুন আঘাতে শঙ্কায় ইউরোপ। যার প্রাথমিক প্রভাবে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ১২ তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন স্থাগিত হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনা মহামারি পরবর্তী বিশ্ববাণিজ্যে নতুন সঙ্কট নিয়ে আলাপ-আলোচনা অনিশ্চিয়তায় ফেলেছে ওমিক্রন।

অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, করোনার এর আগের ধাক্কায় স্বাস্থ্য-খাদ্য প্রভৃতির বাণিজ্য অনেক দেশেই ধাক্কা খেয়েছে। অনেক দেশ সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করে যাচ্ছে, ওমিক্রনের কারণে অর্থনীতি আবারও একটা ধাক্কা খেতে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে বিকেএমএই এর নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ হাতেম বলেন, যে অর্ডারগুলো প্লেস হয়েছে সেগুলো দ্রুত ডেলিভারি করার চেষ্টা করছি আমরা, এগুলো সময়মতো ডেলিভারি করতে পারলে বাঁচি। ওমিক্রনের কারণে যেকোনো সময় এসব অর্ডার স্থগিত বা ক্যানসেল হলে নতুন আরেকটা ডিজাস্টার দেখা দেবে আমাদের জন্য।

উদ্যোক্তারা বলছেন, এখনও তাদের হাতে পর্যাপ্ত রফতানি আদেশ আছে। তাই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণসহ বায়ারদের সাথে যোগাযোগ রাখার কথা জানান উদ্যোক্তারা।

বিকেএমএই এর নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ হাতেম এ ব্যাপারে বলেন, প্রতিনিয়ত বায়ারদের যোগাযোগ রাখছি আমরা, তারাও পরিস্থিতি অবজার্ভ করছে। লকডাউনের কারণে অর্ডার ডেলিভারির ফ্লো বন্ধ হয়ে গেলে সমস্যা তৈরি হবে।

এ ব্যাপারে অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, সতর্কতামূলক যে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে তা বিশ্ব বাণিজ্যকে ব্যাহত করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমাদেরকে আরও সাবধান হতে হবে, আগের অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগাতে হবে। কারণ, মেজর বায়াররা বিভিন্নভাবে প্যানিক সৃষ্টি করেন বা অর্ডার ডেফিসিয়েন্সি তৈরি করেন। এমনকি অর্ডারে অনেক সময় ডিসকাউন্টও চেয়ে বসেন বা ক্যানসেল করেন। তো এসব সমস্যা যেন না হয় সেজন্য আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে কাজ করতে হবে।

ব্যবসায়ীদের শঙ্কা, ওমিক্রনের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি আঘাত পড়বে পর্যটনসহ হোটেল মোটেল ও বিমান যোগাযোগ সংক্রান্ত ব্যবসায়।

/এসএইচ

Exit mobile version