শিক্ষকের বেত্রাঘাতে হাত ভেঙে সাত মাস ধরে কষ্ট পাচ্ছে সিরাজগঞ্জের শিশু ইলিয়াস। এখন ভাঙা অংশে পুঁজ জমে হয়ে গেছে ইনফেকশন। সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি সে। ইলিয়াসের পরিবারের অভিযোগ, মারধরে হাত ভাঙলেও হাসপাতালে না নিয়ে সাত দিন ধরে আটকে রাখা হয় মাদরাসায়। এতেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তার।
সিরাজগঞ্জ সদরের কালিয়াহরিপুর ইউনিয়নের একটি মাদরাসার ছাত্র ইলিয়াস। খেলতে গিয়ে মাঠে স্তুপ করে রাখা খড় এলোমেলো করার অভিযোগে সাত মাস আগের এক সন্ধ্যায় পিটিয়ে হাত ভেঙে দেন মাদরাসাটির শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। হাতের হাড় ভেঙে গেলেও চিকিৎসা না করিয়ে সাত দিন আটকে রাখেন মাদরাসায়। ইলিয়াস বলছে, ব্যাথা এক পর্যায়ে না কমলে পরিবারের লোকজনকে ডেকে পাঠিয়ে দেয়া হয় বাড়িতে।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষকের দাবি, হালকা মারধর করেছেন তিনি, এতে হাত ভাঙার কথা নয়।
আরও পড়ুন : নওগাঁয় পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
অন্যদিকে ইলিয়াসকে চিকিৎসারত সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. নুরুল ইসলাম বলছেন, তার চিকিৎসা শুরু হতে দেরি হয়ে গেছে অনেক। এখন ভাঙা হাড়ের জায়গায় জমেছে পুঁজ। পুরোপুরি সেরে উঠতে সময় লাগবে বলেও জানালেন তিনি।
জন্মের পর থেকেই কষ্টের জীবন ইলিয়াসের। এক বছর বয়সেই মা মারা যায় তার। বাবাও দ্বিতীয় বিয়ে করে শুরু করে আলাদা সংসার। তখন থেকেই ইলিয়াসের বেড়ে ওঠা নানী আর খালার কাছে। তারা জানালেন, দশ দিন ধরে ভর্তি হলেও বাবা দেখতে আসেনি একবারও। নেয়নি খোঁজ পর্যন্ত।
গণমাধ্যমকর্মীরাই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে জানান ইলিয়াসের বিষয়টি। এরপর ইলিয়াসের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. সাইফুল ইসলাম।
/এডব্লিউ

