Site icon Jamuna Television

কুয়েটে শিক্ষক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৯ ছাত্রকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি

ছবি: সংগৃহীত।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-কুয়েটে ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে র‍্যাগের নামে শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে সাজা দেয়া হয় ১২ ছাত্রকে। এতে র‍্যাগের প্রভাব কিছুটা কম থাকলেও সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপিঠে বিভীষিকার নাম ছাত্র রাজনীতি। তাই শিক্ষক মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের শুধু সাময়িক বহিষ্কার মেনে নিতে পারছেন না শিক্ষকরা। সমিতির দাবি, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চিহ্নিতদের স্থায়ী বহিষ্কারের।

এর আগে, কুয়েটে র‍্যাগিংয়ের নামে ছাত্রদের উম্মাদনা আলোচিত হয় ২০২০ সালে। ওই বছরের শেষের দিকে প্রতিষ্ঠান থেকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতারও হয় দুই ছাত্র।

আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ বহিষ্কার ৯

২০১০-এ মদ্যপানে ছাত্রলীগ নেতা আহসানুল্লাহ মেহেদির মৃত্যুর ঘটনাটিও ছিলো বেশ আলোচিত। এরপর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অগ্রাহ্য করে, নিহত ঐ ছাত্রলীগ নেতার স্মৃতিস্তম্ভও করা হয় খান জাহান আলীর হলমুখে।

তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে গেছে কুয়েট শাখা ছাত্রলীগ নেতা সেজানের নেতৃত্বে অনৈতিক দাবি নিয়ে ড. সেলিম হোসেনের কক্ষে প্রবেশ। সেই কক্ষে প্রায় ৪৫ মিনিট অবস্থান এবং এরপর শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনা। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে সেজানসহ ৯ ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। তবে শিক্ষক সমিতি চাইছে, স্থায়ী বহিস্কার।

ছাত্রদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রশাসনকে আরও কঠিন হওয়ার আহ্বান জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের। অভিযুক্ত ছাত্রদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান কুয়েটের বর্তমান ছাত্র বিষয়ক পরিচালকও।

এসজেড/

Exit mobile version