Site icon Jamuna Television

এ কেমন শ্বশুরবাড়ি!

জামাইয়ের বাড়ির মালামাল লুট করেছে কিনা শ্বশুরবাড়ির লোকজন! আর এই ঘটনায় সহায়তার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ফরিদপুরের সালথায় ঘটেছে এমন ঘটনা।

এ ঘটনায় সালথা থানা পুলিশের বিরুদ্ধে ফরিদপুর পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জামাই দেলোয়ার হোসেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২৩ মার্চ রাত আনুমানিক ১১ টায় সালথা উপজেলার মাঠ সালথা গ্রামের ওয়াফি মোল্যার ছেলে দেলোয়ার হোসেন মোল্যার ঘর থেকে নগদ টাকা, গরু, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল জোরপূর্বক নিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে লুণ্ঠনকারীদের সহযোগিতা করেন সালথা থানার এস আই মঈনুল এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী রিভা আক্তারের বাবার বাড়ির লোকজন ও তার আত্মীয়রা রাত ১১টার দিকে সালথা থানার পুলিশসহ দেলেয়ারের বাড়িতে প্রবেশ করে। এর পর, ঘরের মালামাল গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়।

এসময়, চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গেলে তাদের প্রবেশে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেছে তারা। তাদের বক্তব্য, স্বামী-স্ত্রী এক সাথে মিলেমিশে বসবাস করা না করা তাদের ব্যাপার। কিন্তু বাহিরের লোকজন ও থানা পুলিশ রাতের আধারে এসে মালামাল লুটে নেয়া অগ্রহণযোগ্য।

অভিযোগকারী স্বামী দেলোয়ার বলেন, আমার স্ত্রীর সংসার করা নিয়ে আপত্তি থাকলে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় সিদ্ধান্ত নিতে পারতো। আমি সেটা মেনে নিতাম। কিন্তু রাতের আধারে বাহিরের লোকজন দিয়ে আমার উপরে হামলা চালানো হয়। প্রাণভয়ে আমি দৌঁড়ে পালাই।
তারা আমার ৪টি গরু ও আনুমানিক ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

দেলোয়ারের স্ত্রী রিভা বেগম ঘটনার আংশিক সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ৩ বছর জর্ডান ছিলাম। দেলোয়ারের বাড়ি থেকে যে সমস্ত মালামাল এনেছি তা আমার নিজের সম্পদ।

অভিযুক্ত সালথা থানার এস আই মঈনুল আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ফোর্স নিয়ে রাস্তায় টহলের দায়িত্বে ছিলাম। রাতে চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে যাই। জানতে পারি ঘটনাটা পারিবারিক, তাই আমরা ফিরে আসি। আমাদের উপস্থিতিতে কোনো ধরনের লুটপাট হয়নি।

মালামাল লুটের ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন জানিয়ে সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন অভিযোগকারী দেলোয়ারের স্ত্রী রিভা বেগম দ্বারা এই ঘটনা ঘটেছে। তবে, এর সাথে পুলিশের কোনো সম্পর্ক ছিল না।

যমুনা অনলাইন: টিএইচ/টিএফ

Exit mobile version