Site icon Jamuna Television

পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন মুরাদ

ছবি: সংগৃহীত।

পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে তার পদত্যাগপত্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠান তিনি। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে ডা. মুরাদের পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর নিকট পাঠানো হবে।

গত ১ ডিসেম্বর এক ফেসবুক লাইভে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে। যা সমালোচনার ঝড় তোলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রতিবাদ জানায় সাধারণ জনগণ, বিভিন্ন সংগঠন এমনকি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। পদত্যাগ ও ক্ষমা চাওয়ার দাবিও তোলা হয় ডা. মুরাদ হাসানের। পরে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সাথে তার কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হলে তৈরি হয় নতুন বিতর্ক। এর আগে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী থাকাকালেও নানান সময়ে বেফাঁস মন্তব্য করে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন ডা. মুরাদ হাসান।

এমন অবস্থায় ডা. মুরাদকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টি সোমবার রাতে নিশ্চিত করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী তাকে মঙ্গলবারের মধ্যে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সাথে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি’র অডিও ফাঁসের ঘটনায় চিত্রনায়ক মামনুন হাসানকে (ইমন) জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে ডিবি’র মিন্টু রোডের কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল ইমনকে। জানা গেছে, এ সময় তার সাথে প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলেন ডিবি কর্মকর্তারা। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হচ্ছেন মুরাদ?

এর আগেও সংবিধান রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকা নিয়ে মন্তব্য করে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন ডা. মুরাদ। যদিও সেসময় বিষয়টিকে ডা. মুরাদের ব্যক্তিগত মতামত বলে উল্লেখ করেছিল আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতা-মন্ত্রীরা। কিন্তু এ যাত্রায় আর শেষ রক্ষা হলো না। তবে, মন্ত্রিসভা থেকে তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেয়া হলেও সংসদীয় আসন ও দলীয় পদের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত হবে তা নিয়ে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

এসজেড/

Exit mobile version