Site icon Jamuna Television

জাহাঙ্গীর ও মুরাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা সকলের জন্যই সতর্কবার্তা: হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ। ফাইল ছবি।

জাহাঙ্গীর আলম ও মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা সকলের জন্যই সতর্কবার্তা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ।

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আইইবি মিলনায়তনে তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) নতুন কমিটির অভিষেক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেন, কিছুদিন আগে গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দল থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। এবার ডা. মুরাদ হাসানকেও প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে একটি বার্তা পরিষ্কারভাবে দেয়া হচ্ছে, শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউই আওয়ামী লীগের জন্য অপরিহার্য নয়।

এর আগে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে ডা. মুরাদ হাসানের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বিষয়ে কথা হয়েছে। তিনি মুরাদকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। পরবর্তীতে মঙ্গলবার দুপুরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।

আরও পড়ুন: বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর ও মুরাদের ছবি ভাইরাল!

গত ১ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে ফেসবুক লাইভে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন মুরাদ হাসান। যা সমালোচনার ঝড় তোলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। প্রতিবাদ জানায় সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংগঠন। এমনকি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। পদত্যাগ ও ক্ষমা চাওয়ার দাবিও তোলা হয় ডা. মুরাদ হাসানের। পরে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সাথে তার কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হলে তৈরি হয় নতুন বিতর্ক। এর আগে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী থাকাকালেও নানান সময়ে বেফাঁস মন্তব্য করে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন ডা. মুরাদ হাসান।

অন্যদিকে, গত ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হন গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তির অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

Exit mobile version