Site icon Jamuna Television

আবরার হত্যা মামলার রায় আজ

ফাইল ছবি।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যা মামলার রায় আজ বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ঘোষণার কথা রয়েছে। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করবেন। মামলার ৬০ সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয় ৪ মার্চ। ২৫ আসামির মধ্যে কারাগারে থাকা ২২ জন নিজেদের নির্দোষ দাবি করে সাফাই সাক্ষ্য দেয়। আসামিদের বিরুদ্ধে আনা হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে দাবি করে সর্বোচ্চ শাস্তি হবে, এমন আশা করছেন আবরারের পরিবার ও আইনজীবীরা।

চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়। ওই দিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়াকালীন ২০১৯ সালে ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয় আবরারকে। ৭ই অক্টোবর ভোররাতে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বুয়েটের শেরে বাংলা হল থেকে। দেশের অন্যতম এই বিদ্যাপীঠে একজন শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাটি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। এরপর এই ঘটনার সাথে যুক্ত অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মাঠে নামে সারা দেশের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। আবরার হত্যার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পরে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে বুয়েট।

আরও পড়ুন: প্যানডোরা পেপারসের নতুন তালিকা, রয়েছেন বাংলাদেশি

২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২১ জানুয়ারি তা আমলে নেয় আদালত। ১৫ সেপ্টেম্বর ২৫ আসামির বিরুদ্ধে গঠন হয় অভিযোগ। তবে করোনার কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থা, রাষ্ট্রপক্ষের ভুলে পুনরায় অভিযোগ গঠন আর বিচারকের প্রতি আসামিপক্ষের অনাস্থার মতো কারণে বিচার বিলম্বিত হয়েছে বার বার।

৪ মার্চ শেষ হয় ৬০ সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ। আর কারাগারে থাকা ২২ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছে। পলাতক থাকায় ৩ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পায়নি। ১৪ নভেম্বর শেষ হয় বিচার কাজ।

২০২২ সালের এপ্রিলে স্নাতক পাস করার কথা ছিল আবরারের। তাই মা-বাবার চাওয়া, যে সহপাঠী-বড়ভাইরা বিদ্যাপীঠে এমন ঘৃণ্য কাজ করেছে তাদের যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়। আবরারের মা রোকেয়া খাতুন বলেন, সবার কাছে আমার আবেদন, প্রত্যেকের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। আর কোনো মাকে যেন অদূর ভবিষ্যতে সন্তান হারানোর কষ্ট পেতে না হয়।

Exit mobile version