Site icon Jamuna Television

ট্রেনে কাটা পড়ে তিন ভাই-বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু: বাঁচাতে গিয়ে নিহত যুবক

নিহত শামিম, দূর্ঘটনার পর এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

নীলফামারী প্রতিনিধি:

নীলফামারীর সদর উপজেলার মনসাপাড়া এলাকায় চিলাহাটী থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ট্রেনে কাটা পড়ে দুই বোন, এক ভাই ও এক যুবকের অকাল মৃত্যূর ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে এখন চলছে শোকের মাতম। ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও দেখা মেলেনি রেল কর্তৃপক্ষের।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে মনসাপাড়া এলাকায় রেলসেতুর পাশে ট্রাক্টর থেকে ইট নামাচ্ছিলেন শ্রমিকেরা। এর পাশেই রেলসেতুর অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে লিমা (৭), রেশমা (৪) ও মোমিনুর (২.৫) ট্রাক্টর থেকে ইট নামানো দেখছিল। এসময় ইট বোঝাই ট্রাক্টরটি চালু থাকায় তার শব্দে ছুটে আসা ট্রেনের শব্দ শুনতে পায়নি নিহতরা কেউই। এমনকি ট্রেনটিও কোনো হর্ণ দেয়নি।

ট্রেনটি কাছে চলে আসলে এসময় রেল লাইনের অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা শামিম তাদের বাঁচাতে ঝাঁপ দেন চলতি ট্রেনের সামনে। ইতোমধ্যে ট্রেনে কাটা পড়ে লিমা ও রেশমা। পরে ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত মোমিনুর ও শামিমকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহত তিন শিশু মনসাপাড়া এলাকার ভ্যানচালক রেজওয়ানের সন্তান। নিহত শামিম একই এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

নীলফামারী জেলার পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান বলেন, একই পরিবারের তিন শিশু ও এক যুবকের এমন অকাল মৃত্যু সত্যিই মর্মান্তিক। তাদের বাঁচাতে যুবক শামিম যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন তা জেনে আমি অভিভূত। ওই পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে সমব্যাথী। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আমি দাবি জানাবো, স্থানীয়দের লাইন পারাপারে দ্রুত রেল ক্রসিং স্থাপন করার।

/এসএইচ

Exit mobile version