Site icon Jamuna Television

ফোনালাপের সুযোগ পেতে যাচ্ছেন বন্দিরা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

এখন থেকে কারাগারে থাকা বন্দিরা স্বজনদের সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে পারবেন। দেশে প্রথমবারের মতো বন্দিদের ফোনালাপের কার্যক্রম চালু হতে যাচ্ছে টাঙ্গাইলে। বুধবার (২৮ মার্চ) এর উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। ‘স্বজনের সাথে সংশোধনের পথে’ শ্লোগানকে সামনে নিয়ে টেলিফোনে কথা বলা এই কার্যক্রমের নাম করন করা হয়েছে ‘ স্বজন পরিবারের বন্ধন।’

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)-এর সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড ও বাংলাদেশ জেলের সহায়তায় এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এই কার্যক্রমের আওতায় বন্দিরা (হাজতি ও কয়েদি) কারাগারে আসার পর তাদের কাছ থেকে তাদের স্বজনদের দুটি মুঠোফোন নম্বর রাখা হবে। মাসে একজন বন্দি দু’বার ১০ মিনিট করে কথা বলার সুযোগ পাবেন। কথা বলার ক্ষেত্রে নারী, বৃদ্ধ ও বন্দিদের সাথে আসা শিশুদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

টাঙ্গাইল কারাগারে গিয়ে দেখা যায়, কারাগারের ভেতর একটি কক্ষে চারটি ফোন বুথ তৈরি করা হয়েছে। জেলার আবুল বাশার জানান, কোনো বন্দি সরাসরি বুথে গিয়ে কথা বলতে পারবেন না। নির্ধারিত সময়ে বন্দিরা বুথে ঢুকে এক বা দুই চাপলে সফটওয়্যার থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অভিষ্ট নম্বরে সংযোগ পাওয়া যাবে। নির্ধারিত সময়ের ১০মিনিট পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে কল কেটে যাবে। সময় শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে সতর্কসূচক ‘বিপ’ শব্দ হবে। নির্ধারিত সময়ের পূর্বে বা পরে কল ডায়াল হবে না। শুধুমাত্র নির্ধারিত সময়েই কল করতে হবে। বন্দিদের স্বজনরা নির্ধারিত সময়ে কথা বলার জন্য যেন প্রস্তুত থাকতে পারেন, সেজন্য আগের দিন তাদের মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে সময় জানিয়ে দেয়া হবে।

এটুআই প্রকল্পের পরামর্শক তানভীর কাদেরের নেতৃত্বে কারাগারে ফোন বুথ ও এর সফটওয়্যার প্রস্তুত করা হয়েছে। বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উদ্বোধনের পর একজন বন্দি তার স্বজনদের সাথে কথা বলার মধ্য দিয়েই এ কার্যক্রম শুরু হবে। তানভীর কাদের জানান, কারাগারের যেসব কর্মী এই কার্যক্রমে যুক্ত থাকবেন তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইলের জেলা সুপার মঞ্জুর হোসেন যমুনা নিউজকে জানান, বন্দিরা কারাগার থেকে আত্মীয়-স্বজনের সাথে কথা বলতে পারলে তাদের পারিবারিক যোগাযোগ অক্ষুণ্ন থাকবে। তিনি জানান, বন্দিদের মধ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সদস্য এবং অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলায় অভিযুক্ত বন্দিরা ফোনে কথা বলার সুযোগ পাবেন না। নিরাপত্তার স্বার্থে বন্দিদের প্রতিটি কল রেকর্ড করা হবে। এছাড়া বুথে সার্বক্ষণিক কারারক্ষী নিয়োজিত থাকবে।

যমুনা অনলাইন:এসএম/টিএফ

Exit mobile version