Site icon Jamuna Television

দেশ ছাড়ছেন ডা. মুরাদ?

ছবি: সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসান বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে কানাডায় যাওয়ার জন্য টিকিট কেটেছেন তিনি। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) তিনি এ টিকিট কাটেন বলে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স সূত্র সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে।

জানা গেছে, প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় মুরাদ হাসানের যে লাল পাসপোর্ট (বিশেষ পাসপোর্ট) ছিল, সেটি পদত্যাগের দিন মঙ্গলবার বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া অনলাইন প্ল্যাটফর্মসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুরাদ হাসানের অশ্লীল-কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের ৩৮৭টি লিংক চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

মুরাদ হাসানের অশালীন, শিষ্টাচারবহির্ভূত ও নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর বক্তব্য দিয়ে মন্ত্রিত্ব হারান। গতকাল তার নাম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নামফলক থেকেও মুছে ফেলা হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে থাকা প্রতিমন্ত্রীর তালিকা থেকেও তার নামটি বাদ দেয়া হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও তার নাম নেই।

৮ ডিসেম্বর (বুধবার) ডা. মুরাদ হাসানকে অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) ডা. মুরাদকে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর ফেসবুক লাইভে তৎকালীন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে। যা সমালোচনার ঝড় তোলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রতিবাদ জানায় সাধারণ জনগণ থেকে বিভিন্ন সংগঠন। এমনকি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। পরবর্তীতে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সাথে তার কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হলে তৈরি হয় নতুন বিতর্ক। এর আগে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী থাকাকালেও নানান সময়ে বেফাঁস মন্তব্য করে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন ডা. মুরাদ হাসান।

ইউএইচ/

Exit mobile version