Site icon Jamuna Television

ডেলটা লাইফে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার অনিয়মের হিসাবে বড় ধরনের গরমিল

ডেলটা লাইফ ইন্সুরেন্সে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার অনিয়ম হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইডিআরএ)। অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে এই বিশাল অংকের আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেছে সংস্থাটি। তবে এই হিসাবকে কল্পিত ও মিথ্যা বলে দাবি করছেন ডেলটা লাইফের বরখাস্ত হওয়া পরিচালেকরা। বেশ কিছু ক্ষেত্রে অনিয়ম পাওয়ার পাশাপাশি টাকার অংকে বড় ধরনের পার্থক্য মিলেছে যমুনা নিউজের অনুসন্ধানেও।

গ্রাহক স্বার্থ ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে গত ফেব্রুয়ারিতে ডেলটা লাইফ ইন্সুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ সাসপেন্ড করে প্রশাসক নিয়োগ দেয় বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা, আইডিআরএ।

বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা, আইডিআরএ চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন জানালেন, ডেলটা লাইফে ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত অডিট করে একনোবীন। সাসপেন্ড করা পরিচালনা পর্ষদ ৩ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকার অনিয়ম, অবস্থাপনা ও দুর্নীতির কথা তাদের অন্তবর্তীকালীন প্রতিবেদনে অর্থ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে তারা।

তবে সাড়ে তিন হাজার কোটি তসরুপ, অনিয়ম, দুর্নীতির বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে জানায় সাসপেন্ড হওয়া ডেলটা লাইফের পরিচালক জিয়াদ রহমান।

একনোবীনের প্রতিবেদনে বিমা দাবির বিপরীতে আড়াই হাজার কোটি টাকা প্রভোশন কম দেখিয়ে লাইফ ফান্ড বাড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। যদিও অস্বাভাবিক এই হিসাবের অংক মেলে না। কারণ গত মার্চে ডেল্টায় নিয়োগকৃত প্রশাসক সুলতান আবেদীন মোল্লা আইডিআরএকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, ডেলটা লাইফের বিমা দাবি বকেয়া ছিল মাত্র ১৩০ কোটি টাকা।

প্রতিবেদেন ৭০টি খাতে অনিয়মের মধ্যে বগুড়া ও খুলনায় ২০ তলা দুটি ভবন ভাড়া না দেয়ায় ৫৬ কোটি টাকা অপরচুনিটি ক্ষতি হিসাবে দেখিয়েছে। একইভাবে ৩৩৫ কোটি টাকা ভ্যাট ও কর বকেয়া রাখার বিষয়টি তুলে ধরেছে ক্ষতি হিসেবে। যদিও এসব অব্যবস্থাপনা আত্মসাৎ ও দুর্নীতির মধ্যে পড়ে না বলে জানান বিমা সংশ্লিষ্টরা।

প্রশাসক নিয়োগের আগে ও পরে ডেলটায় অনিয়ম খুঁজতে কাজ করে আরও ২ অডিট ফার্ম। আর প্রথম প্রশাসকের আমলে অভ্যন্তরীণ অডিটে ডেলটার পরিচালকদের সময়ে ৩০ কোটি টাকার দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যায়।

/এডব্লিউ

Exit mobile version