Site icon Jamuna Television

রাত করে ফিরলে মার তো খাবেই, প্রচলিত কথার বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন মিথিলা

ছবি: সংগৃহীত

গার্হস্থ্য হিংসা বা পারিবারিক কলহের বিরুদ্ধে এবার সোচ্চার হলেন অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। কারণে অকারণে সংসারে নারীদের ওপরে পুরুষের নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন তিনি।

মিথিলা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘মেয়েদের মানিয়ে নিতেই হয় কিংবা রাত করে বাড়ি ফিরলে তো মার খাবেই! অথবা ‘স্বামীর রাগই তো ভালবাসা, একটা থাপ্পড়ে কী হয়! টাকা-পয়সা তো দেয়।’ খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

মিথিলা তার কথায় বুঝাতে চেয়েছেন ওই কথাগুলো যেনো মেয়েদের জীবনগাথা। শহর থেকে শহরতলি হয়ে দেশ বা বিদেশ এ কথাগুলোই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে মেয়েদের শেখানো হয়। একুশ শতকেও তার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

বরং জন্ম থেকে শুনতে শুনতে কথাগুলো যেনো ‘অভ্যাস’ হয়ে দাঁড়িয়েছে নারী জীবনে। হাজার নিয়ম, নীতির বেড়াজালে বন্দি নারী যখনই ছটফটিয়ে উঠে নতুন কিছু শুনতে চায় এই কথাগুলো যেনো আরও বেশি করে শোনানো হয় তাকে। যাতে নিয়ম-বিরুদ্ধ, নীতি-বিরুদ্ধ কোনো কাজ, কোনো পদক্ষেপ সে না নিয়ে ফেলে।

স্বামী বা পুরুষ সঙ্গীর রাগ বড্ড বেশি, তাই সে রেগে গিয়ে হাত তোলে। তাই স্ত্রীকে বা সেই মেয়েকেই সাবধানে থাকতে হবে, সেই পুরুষ যাতে রেগে না যান। এই সমীকরণে অভ্যস্ত হয়েও সমাজে গার্হস্থ্য হিংসা কি কমেছে? বরং উল্টোটাই হচ্ছে। কারণ শুধু সমাজ বা পুরুষ নয়, পিতৃতন্ত্রের দাপটে এই কথাগুলো এক নারী অবলীলায় আর এক নারীকেই বলতে থাকে।

একুশ শতকেও কি এই ধারা বদলাবে না? অবশ্যই বদলাবে। তারই ডাক দিয়েছেন মিথিলা। যুগ যুগ ধরে চলে আসা কথাগুলোর সঙ্গেই ছিল তার জোরাল প্রতিবাদ। তার দাবি, ‘এই সব কথা আমাদের সমাজে পারিবারিক নির্যাতনকে আরও যেনো স্বাভাবিক করে তুলছে। আমি এই ধরনের সমস্ত কথা বর্জন করছি।’ একইভাবে তিনি সমস্ত মেয়ে এবং সমাজের সবাইকে পারিবারিক হিংসার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের মার্কিন ভিসা বাতিল

মিথিলার এই প্রতিবাদী রূপ নতুন নয়। এর আগেও তিনি নারী-শিশু পাচার এবং ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারে অশ্লীল কটাক্ষের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

ইউএইচ/

Exit mobile version