Site icon Jamuna Television

খালেদা জিয়ার সাজা কেন বাড়ানো হবে না, হাইকোর্টের রুল

‘জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা কেন বৃদ্ধি হবে না জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল জারি। সরকার এবং বেগম খালেদা জিয়াকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। দুদকের এক আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ‘জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া’সহ ৬ আসামিকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ আদালত। সেদিন থেকেই পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন তিনি।

আদালতে খালেদার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

শুনানিতে দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, সাজা যদি সবার সমান হত, তাহলে আমাদের সাজা বৃদ্ধির আবেদনের প্রশ্ন আসতো না। কিন্তু প্রধান আসামি হয়েও খালেদা জিয়া অন্য আসামি থেকে সাজা কম পেয়েছেন। বয়স, সামাজিক অবস্থান ইত্যাদি ক্ষেত্র বিবেচনা করে তার সাজা কমানো হয়েছে। কিন্তু আইনত শাস্তির ক্ষেত্রে এই ধরণের কারণ গুলো বিবেচনায় আসতে পারে না।

অপর দিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন শুনানিতে বলেন, দুদকের বিদ্যমান আইনে সাজা বৃদ্ধির আবেদন করা যেতে পারে না। এটা একটা বিশেষ কেস, তা পরিচালিত হবে বিশেষ আইনে। সরকার পার্লামেন্টে আইন সংশোধন করার পর সাজা বৃদ্ধির বিষয়ে দুদক আবেদন করতে পারে।

খালেদা জিয়ার অপর এক আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, দুদকের সাজাবৃদ্ধির কারণ এটা হতে পারে না যে কার সাজা কত কম কত বেশি দিল। দুদক এই কারণ দেখিয়ে আপিল করতে পারে না। সাজা দেয়া হয়েছে অপরাধের ধরণ, মামলার মেরিট অনুসারে। সাজার বৈষম্যের প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। দুদককে অবশ্যই পেছন থেকে কেউ প্রভাবিত করছে।

Exit mobile version