Site icon Jamuna Television

ক্রীড়াঙ্গনে আবারও করোনার থাবা

ছবি: সংগৃহীত

আবারও করোনার প্রকোপ বেড়েছে ক্রীড়াঙ্গনে। সফরকারী দলের ৮ জন খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা করোনা পজেটিভ হওয়ায় স্থগিত করা হয়েছে পাকিস্তান-উইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজ। শুধু ক্রিকেটেই না, ফুটবলেও পড়েছে করোনার প্রভাব। ফুটবলাররা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে স্থগিত করা হয়েছে বেশ কিছু খেলা।

পাকিস্তানে পৌঁছেই খারাপ খবর পায় ক্যারিবিয়রা। প্রথমে করোনা পজেটিভ হন ৩জন। এরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হতে না হতেই বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। ৩য় টি-টোয়েন্টির আগে আরও ৫ জন আক্রান্ত হলে দল করতেই হিমশিম খায় উইন্ডিজ। কোনোভাবে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা শেষ করেই বৃহস্পতিবার দুই বোর্ড ঘোষণা দেয় সিরিজ স্থগিত করার। আগামী জুনে অনুষ্ঠিত হবে দুই দলের বাতিল হওয়া ওয়ানডে সিরিজটি।

ছবি: সংগৃহীত

একই সাথে করোনার হানা পড়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে। ইউরোপে নতুন করে সংক্রমণ বাড়ার প্রভাব এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে ইপিএলে। একের পর এক ম্যাচ স্থগিত করতে গিয়ে সবশেষ লেস্টার-টটেনহ্যাম আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-ব্রাইটনের ম্যাচটি বন্ধ করতে বাধ্য হয় আয়োজকরা। গেলো সপ্তাহে ফুটবলারসহ ১৩ জন করোনা আক্রান্ত হয় টটেনহ্যামের। কোচ কন্তেও তুলে ধরেন দলের ভয়াবহতার কথা।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দুটি ম্যাচ স্থগিত করা হলেও দলের অবস্থা এতোটা খারাপ না। সোমবার দলের কয়েকজন ফুটবলার আর স্টাফ করোনা আক্রান্ত হওয়ার ফলে ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেয়া হয় ক্লাবটির ট্রেনিং সেন্টার।

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৪০ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু এবার গেলো সপ্তাহে ৪২ জন আক্রান্ত হওয়ায় শঙ্কার মধ্যে আছে আয়োজকরা। খেলা চালিয়ে যেতে প্রতিদিনই মুখোমুখি হতে হচ্ছে চ্যালেঞ্জের। লিগের দল ব্রেন্টফোর্ডের কোচ অবশ্য মনে করেন এক সপ্তাহ বন্ধ রাখলে সংক্রমণের ধাক্কা সামলে ওঠা সম্ভব। ব্রেন্টফোর্ড কোচ টমাস ফ্র্যাঙ্ক বলেন, প্রতিটি ক্লাবেই সংক্রমণ বাড়ছে। এই রাউন্ড ও লিগ কাপ পিছিয়ে দিলে সবার গুছিয়ে উঠতে সুবিধা হবে। এক সপ্তাহ বন্ধ রাখলে বক্সিং ডে’তে আবার খেলা স্বাভাবিক রাখতে কোনো সমস্যা হবার কথা না।

শুধু ইপিএল না, করোনা হানা দিয়েছে লা লিগাতেও। প্রথমে লুকা মদরিচ আর মার্সেলো আক্রান্ত হলেও এবার গ্যারেথ বেল, অ্যাসেনসিও, রদ্রিগোসহ আনচেলত্তির ছেলে সহকারী কোচ ডেভিড আনচেলত্তিও আক্রান্ত হন করোনায়।

Exit mobile version