Site icon Jamuna Television

বাজারে মাছের সংকট, আকাশ ছুঁইছে দাম

শীত মৌসুমে মাছ বাজারে সরবরাহে সংকট। নদীর মাছ তো বটেই, রাজধানীর সব দোকানে মিলছে না চাষের জাতও। ফলাফল, কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে সব মাছের দর। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ছুটির দিনে আড়তে অযৌক্তিক দাম চান পাইকাররা। সেই চাপ গিয়ে পড়ে ক্রেতার পকেটে। একই অবস্থা হাওরাঞ্চলেও। তবে দক্ষিণের জেলায় বেড়েছে সামুদ্রিক মাছ আহরণ।

বিজয় দিবসের পেরোলেও রাজধানীর পলাশী বাজারে তার আমেজ কাটেনি। চারদিকে সাজ সাজ রব। কিন্তু তার নিচে মাছ বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার মুখ মলিন। বেচাকেনা বেশ কম। জানা গেলো, আড়তে সরবরাহ সংকট। তাই ছুটির দিনে চাহিদা অনুযায়ী মাছ আসেনি বাজারে। অনেক দোকানে শুরুই হয়নি দিনের কাজ। ফলাফল, ৩শ টাকার রুই-মৃগেল এখন সাড়ে ৩শ টাকা। ৫শ টাকায় মিলবে এক কেজি পাবদা কিংবা শোল। প্লেট হিসাবে ৪শ টাকার নিচে পাওয়া যাবে না মলা, ট্যাংরা, পুঁটি আর কাচকি। হাত দেয়ার জো নেই ইলিশে।

বাঙালি রসনাবিলাসের বড় অংশ যোগান দেয় হাওরের মাছ। কিছুদিন আগেও এসব বাজার স্থানীয় বোয়াল, আইড়, চিতল আর কার্প জাতীয় মাছে ভরপুর থাকতো। কিন্তু এখন চারপাশে শুধু চাষের প্রজাতি। তার দাম আবার বেশি। তাই স্বভাবতই ক্ষোভ ক্রেতার কণ্ঠে।

অবশ্য দক্ষিণের জেলা সাতক্ষীরায় সামুদ্রিক মাছের বেচাকেনা জমজমাট। হরিণা, গলদা আর বাগদা চিংড়ি তো বটেই, কোরাল, ভেটকি ও পারসে মিলছে প্রায় সব দোকানে। কিন্তু দাম চড়া। ব্যবসায়ীদের যুক্তি, ঠান্ডা জেঁকে বসায় মাছ শিকারে যাচ্ছেন না অনেকে জেলে।

গত কয়েক মাস ধরেই বাজার বেশ উত্তপ্ত। বেড়েছে পেঁয়াজসহ মাংসরেও দাম। কয়েকদিনে মুরগির দাম বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে।  এ নিয়ে প্রতিবেদনটি পড়ুন এই লিংকে।

প্রসঙ্গত, মাছের ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, বাজারে মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে আরও অন্তত ১ মাস।

/এডব্লিউ

Exit mobile version